এপ্রিল ও মে মাস হল সাপদের প্রজননের সময়। ফলে এই সময় তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পারলেন রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলার বদি হারনি গ্রামের বাসিন্দারা। প্রায় ঘণ্টা দুই-তিনেক এই দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভিলওয়াড়া সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের গ্রাম বদি হারনির বাসিন্দারা।
advertisement
যদিও গ্রামবাসীরা যখন এই দৃশ্য উপভোগ করছেন, কেউ কেউ মোবাইল বন্দি করছেন, তখনই কেউ খবর দেন বনবিভাগে। বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপ দু’টিকে উদ্ধার করে নিরাপদ বনাঞ্চলে ছেড়ে দেয়।
ভিলওয়াড়া বন বিভাগের মতে, এগুলি দাঁড়াশ প্রজাতির নির্বিষ সাপ। এই প্রজাতির সাপের দৈর্ঘ্য ১০-১২ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা প্রজনন কালে পরপর তিন-চার দিন মিলনে রত থাকে।
সাপের মিলন বিরল
সর্পযুগলের মিলন মুহূর্ত খুবই বিরল। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া খুবই সৌভাগ্যের বলে মনে করা হয়। সর্পযুগলের মিলনকে কোথাও কোথাও শঙ্খ লাগা বা জোড় লাগাও বলা হয়।
এপ্রিল এবং মে মাসে গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাপের প্রজনন সময় শুরু হয়। ভিলওয়ারা সহকারী বন সংরক্ষকের মতে, শহরের কোলাহল থেকে দূরে নির্জন জায়গায় এদৃশ্য দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ভূমিপুত্রকে হারাল জলপাইগুড়ি, হাকিমপাড়া জুড়ে এখন শুধু লেখকেরই স্মৃতি রোমন্থন
তিনিই জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই সব প্রাণীদের বেঁচে থাকা দরকার। তাই জনবহুল এলাকার আশপাশে বন্যপ্রাণী দেখা গেলে তাদের হত্যা করা যাবে না। তাদের ধরার বা উত্যক্ত করার চেষ্টা একেবারেই করা যাবে না।
বরং পুলিশে, বন দফতরে খবর দিতে হবে। প্রশিক্ষিত ব্যক্তিরা বন্য প্রাণীগুলি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেবেন।