অভিলাষ মিশ্র/ ইন্দোর: আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, এখনও শিশুদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বেশি। বিষয়টা যথেষ্ট উদ্বেগেরও৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং মানুষকে সচেতন করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। কিন্তু, সাধারণ মানুষ সচেতন না হওয়া পর্যন্ত, এই রোগ নিশ্চিহ্ন হওয়া সম্ভব নয়।
ন্যাশনাল হেলথ মিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫০ বছরে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর চিকিৎসার জন্য খরচ হয় কমপক্ষে ১ কোটি টাকা। ডাঃ মনীশ সিং গুর্জার জানান, এই রোগটি বংশগত।
আরও পড়ুন: ভূমিপুত্রকে হারাল জলপাইগুড়ি, হাকিমপাড়া জুড়ে এখন শুধু লেখকেরই স্মৃতি রোমন্থন
শৈশব থেকে কিশোর পর্যন্ত বয়সি শিশুরা এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। আর সেই রোগ আসে, তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকেই। তাই চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, নিজেদের সন্তানকে সুস্থ জীবন উপহার দিতে চাইলে, বিয়ের আগে কুষ্ঠি বিচারের পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া টেস্টও করান৷
যেসব শিশু ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত, তাঁদের জন্য চিকিৎসাই একমাত্র সমাধান। এক্ষেত্রে, অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনই সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি৷ কিন্তু, তা ভারতে অত্যন্ত ব্যয়বহুল৷ তাই সাধারণ এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাতে পারেন না৷ নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্ত দেওয়াই এই রোগীদের একমাত্র ওষুধ।
কেন্দ্রীয় সরকার যদি কোনও ভাবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের খরচ সাধারণের ব্যয়সাধ্য করে তুলতে পারে, তাহলে আগামী দিনে অন্তত এই থ্যালাসেমিয়া রোগে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কমবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায় অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর ৮০ থেকে ৯০% মানুষই সুস্থ হয়ে যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Thalassemia