বিচারক জানিয়েছেন, ট্যুইটের মাধ্যমে “স্মৃতি ইরানির সুনামে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে।” বিচারপতি মিনি পুষ্কর্ণ বলেন, “প্রাথমিক দৃষ্টিতে আমার মনে হয়েছে প্রকৃত ঘটনা যাচাই না করেই বাদীর বিরুদ্ধে অপবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে।”
আরও পড়ুন- বিরলতম রক্ত মিলল ভারতে! A, B, AB বা O নয় EMM Negative রক্তের হদিশ বৃদ্ধের দেহে
advertisement
জয়রাম রমেশ এক ট্যুইট বার্তায় আদালতের এই সমনের কথা নিশ্চিত করেছেন। “দিল্লি হাইকোর্ট আমাদেরকে স্মৃতি ইরানির দায়ের করা মামলার আনুষ্ঠানিক জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেছে। আমরা আদালতের সামনে তথ্য উপস্থাপনের জন্য উন্মুখ। আমরা শ্রীমতি ইরানিকে চ্যালেঞ্জ করব এবং মিথ্যা প্রমাণ করব,” ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেন, “উচ্চ পদে থাকা ব্যক্তি বা কোনও নাগরিকের বিরুদ্ধে মানহানিকর অভিযোগ তোলার আগে অবশ্যই সমস্ত তথ্য যাচাই করে নেওয়া উচিত।” স্মৃতি ইরানির অষ্টাদশী কন্যা গোয়ায় একটি ‘বেআইনি বার’ চালান, এই ছিল কংগ্রেসের মূল অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গত সপ্তাহেই তিন কংগ্রেস নেতা ও কংগ্রেসকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করেছেন এবং অবিলম্বে তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ারও দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন- "উপযুক্ত সময় এলেই জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা পাবে": স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর কন্যা সম্পর্কে ‘মিথ্যা রটনা ও প্রকাশ্যে চরিত্র বিকৃতির’ অভিযোগ তুলেছেন স্মৃতি। তাঁর দাবি, তাঁর কন্যা প্রথম বর্ষের কলেজ ছাত্রী এবং কোনও বার তিনি চালান না। কংগ্রেস একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মন্ত্রীর মেয়ের পরিচালিত রেস্তোরাঁর কারণ দর্শানোর নোটিশের একটি নথি শেয়ার করে। দলের মুখপাত্র পবন খেরার দাবি ছিল, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মৃত ব্যক্তির নামে বারটির লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল।
গোয়ার আবগারি কমিশনার নারায়ণ গাদ গত ২১ জুলাই আইনজীবী-কর্মী আইরেস রড্রিগেসের অভিযোগের ভিত্তিতে রেস্তোরাঁয় একটি শো-কজ নোটিশ জারি করেছিলেন। আইরেসের অভিযোগ, মালিকরা পানশালার লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ‘জালিয়াতি করেছেন এবং ভুয়ো নথি’ জমা দিয়েছেন।