আরও পড়ুনঃ বাড়িতে ডেকে এনে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে নিলেন মহিলা; ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়
সোমবার দিল্লি-মুম্বই-রিয়াধ উড়ান অবতরণ করার পরেই বিমানকর্মীরা অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তবে ওই ব্যক্তি কীভাবে নিরাপত্তার ফাঁক গলে বিড়ি আর লাইটার নিয়ে উড়ানে উঠতে পারল, সেটা দেখেই চমকে গিয়েছেন আধিকারিকরা!
advertisement
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ ফকরুদ্দিন মহম্মদ আম্মুরুদ্দিন। শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। একটি কানেক্টিং ফ্লাইটে মুম্বই হয়ে রিয়াধ যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। আধিকারিকরা বলেন যে, মাঝ-আকাশে আম্মুরুদ্দিন উড়ানের শৌচাগার থেকে বেরোনোর পরেই উড়ানের নিরাপত্তা আধিকারিক ধোঁয়া দেখতে পান। ফলে মুম্বইয়ে উড়ানটি অবতরণ করার পরে বিমানকর্মীরা তাঁকে আটক করেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
ওই আধিকারিক আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত জানিয়েছে যে, প্যান্টের পকেটে বিড়ি আর লাইটার নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরের সিকিউরিটি পরীক্ষায় সফল ভাবে উতরে গিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এবং এয়ারক্র্যাফট আইনের বিভিন্ন ধারায় আম্মুরুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্থানীয় আদালত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রিম্যান্ড করা হয়েছে।
আবার আকাসা এয়ার এয়ারলাইনেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম বারের জন্য ওই বিমান সংস্থার উড়ানে চেপে আহমেদাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু পাড়ি দিচ্ছিলেন ৫৬ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়। তিনিও উড়ানের শৌচাগারে বিড়ি ধরিয়েছিলেন। এরপর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম এম প্রবীণ কুমার। তিনিও পেশায় শ্রমিক। রাজস্থানের পালি জেলার মারওয়ার জংশনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির ঠাঁই হয়েছে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলে।