কিন্তু সত্যিই কি এমন মানুষ হয়!
সত্যিই যে এমন মানুষ হতে পারে, তার প্রমাণ মিলেছে রাজস্থানে। সেখানেই দেখা মিলেছে এমন মানুষের যিনি বছরে ৩০০ দিন ঘুমোন। অর্থাৎ কুম্ভকর্ণের চেয়ে একটু বেশিই ঘুমোন তিনি।
রাজস্থানের নাগৌরের পর্বতসার তহসিলের একটি ছোট গ্রাম ভাদওয়ায় থাকেন পুরখারাম। মানুষটির কথা শুনে যতই মজাদার বলে মনে হোক না কেন, আসলে এটি মোটেও সুখের বিষয় নয়। বরং এটি একটি অসুখ।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্ধ্যাত্ব ও মাতৃত্বের সঙ্গে জড়িয়ে প্রবল আবেগ! বিশেষ কিছু কথা জানা জরুরি, আলোচনায় বিশেষজ্ঞ!
পুরখারাম ভুগছেন হাইপারসোমনিয়া রোগে। সাধারণত বেশির ভাগ মানুষ অনিদ্রা রোগের কথা শুনেছেন, রাতের পর রাত চোখ বন্ধ করতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু পুরখারাম ভুগছেন অতিনিদ্রা রোগে। তিনি নিজেও জানেন না ঠিক কত দিন ধরে একটানা ঘুমোচ্ছেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিকে পুরখারাম একটানা ২৫ দিন ঘুমোতেন। ঘুমের মধ্যে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে রুটি খাইয়ে দিতেন। প্রাত্যহিক কৃত্যও চলত ঘুমের মধ্যেই। তারপর শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা।
গত ছ’মাস চিকিৎসার পর তাঁর স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা। কারণ এখন পুরখারাম মাত্র দুই থেকে তিন দিন ঘুমোন। সেই ঘুমও একটানা নয়। মাঝে মধ্যেই জেগে ওঠেন তিনি।
ঘুমের আগে পুরখারাম বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, ‘একদিন আগে থেকেই মাথাব্যথা শুরু হয় আমার। তারপর ঘুমিয়ে পড়ি, তখন আমাকে জাগানো অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: বর্ষায় সাপের ভয়! সাপে কামড়ালে কী করবেন? কোনটা না, জানুন
এখনও পর্যন্ত পুরখারামের এই রোগ নিরাময়ের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। তাঁর মা কানওয়ারিদেবী এবং স্ত্রী লিছমিদেবী আশাবাদী, পুরকারাম শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন, আবার আগের মতো জীবনযাপন করবেন।
হাইপারসোমনিয়া রোগে ভুগলেও পুরখারামের একটি মুদি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আয় থেকেই চলে তাঁদের সংসার। তবে যেদিন বেশি ঘুম হয় সেদিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়।