উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলের শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভা। যদিও ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। অনেক আগেই সেই নির্দেশ দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য গতকালই শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন পাঁচেক আগেই লোকসভার স্বাধিকার কমিটিতে শিশির অধিকারীর সাংসদ পথ খারিজের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়ে এসেছেন সুদীপ। যত দ্রুত সম্ভব শিশির অধিকারীর সংসদ পদ খারিজ হোক, এমনই চায় তৃণমূল। খুব দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: জগদীপ ধনখড়কে ভালই চেনা, কিন্তু জানেন কি তাঁর জীবনের ইতিহাস
তবে আজ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, " আমি পাঁচ দিন আগে ই লোকসভার স্বাধিকার কমিটিতে সাক্ষ্য দিয়ে এসেছি যাতে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। কিন্তু সেটা যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা তৃণমূলেরই সাংসদ।"
কে হবেন দেশের আগামী উপরাষ্ট্রপতি, তা আজই সন্ধ্যার পর জানা যেতে পারে। মূল লড়াই হতে চলেছে এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড় এবং বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভার মধ্যে।
নির্বাচনী কলেজে ৭৮০ জন সাংসদ রয়েছেন, লোকসভায় ৫৪৩ জন এবং রাজ্যসভায় ২৪৫ জন। উচ্চকক্ষের আটটি শূন্য আসন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৬ জন সাংসদ ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার ফলে ৭৪৪ জন সাংসদ ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ এনডিএ-র ৪৪১ জন সাংসদ রয়েছেন, যার মধ্যে বিজেপির-ই ৩৯৪ জন। পাঁচজন মনোনীত সদস্যও এনডিএ প্রার্থীকেই সমর্থন করছেন। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেকার বিবাদ বারেবারেই দেশের সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান ৫২৭ টি ভোট পেতে পারেন ধনখড়, যা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭২ টি ভোটের চেয়ে অনেক বেশি৷ সব মিলিয়ে মোট ভোটের ৭০ শতাংশই যেতে পারে ধনখড়ের ঝুলিতে। যা প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর প্রাপ্ত ভোটের চেয়েও দুই শতাংশ বেশি৷