বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এদিন অভিযোগ তোলেন, ‘ভারতীয় নির্বাচন বিধির চূড়ান্ত লঙ্ঘন ঘটেছিল যখন সনিয়া গান্ধি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার আগেই তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল৷’
অমিত মালব্য লেখেন, ‘সনিয়া গান্ধির নাম ১৯৮০ সালে ভারতীয় ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়৷ যা তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার ৩ বছর আগের কথা৷ সেই সময় তিনি ইতালিরই নাগরিক ছিলেন৷ সেই সময়, গান্ধি পরিবার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির সরকারি বাসভবন ১, সফদরজং রোডে থাকতেন৷ ততদিন পর্যন্ত, সেই ঠিকানায় নিবন্ধিত ভোটাররা ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধি, সঞ্জয় গান্ধী এবং মানেকা গান্ধি৷’
advertisement
বিষয়টির সপক্ষে নথিও প্রকাশ করেছেন মালব্য৷ লিখেছেন, ‘১৯৮০ সালে, নয়াদিল্লি সংসদীয় আসনের ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছিল৷ ১ জানুয়ারি, ১৯৮০ তারিখকে যোগ্যতার তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই সংশোধনের সময়, সোনিয়া গান্ধির নাম যুক্ত করা হয়। বিষয়টিতে স্পষ্টতই আইন লঙ্ঘন করা হয়েছিল, আইন বলে একজন ব্যক্তিকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে হলে, তাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে৷’
মালব্য জানান, এরপরে, ১৯৮২ সালে ব্যাপক প্রতিবাদের পর, সনিয়ার নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়৷ কিন্তু ১৯৮৩ সালে আবার তাঁর নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়। তার পরেও প্রশ্ন ওঠে। সেই বছর ভোটার তালিকার নতুন সংশোধনীতে, সনিয়া গান্ধির নাম ১৪০ নম্বর ভোটকেন্দ্রের ২৩৬ নম্বর ক্রমিক নম্বরে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। নিবন্ধনের যোগ্যতার তারিখ ছিল ১ জানুয়ারি, ১৯৮৩৷ কিন্তু, সনিয়া ভারতীয় নাগরিকত্ব পান ১৯৮৩ সালের ৩০ এপ্রিল৷
রাজীব গান্ধির সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর হয়ে গেলেও কেন ভারতীয় নাগরিকত্ব নিতে সনিয়া তৎপর হননি, সে প্রশ্নও নিজের পোস্টে তুলেছেন মালব্য৷
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করে পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ এনেছেন রাহুল৷