মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক বসেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। আর সেই বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের দুই কর্তা পুলিশ আধিকারিকদের নির্দিষ্ট নির্দেশ আকারে জানিয়ে দিয়েছেন, কখনও কোনও ঘটনায় অপরাধীর ধর্ম বিচার করে যদি কোনও থানা ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তার দায় সেই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের। একইসঙ্গে সেই থানার অফিসারদের পাশাপাশি তাঁর উপরের পদস্থ পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
advertisement
কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারের সময় কংগ্রেস নেতৃত্ব স্পষ্ট ঘোষণা করেছিল, রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় ফিরলে পিএফআই এবং বজরং দলের মতো সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শপথ নেওয়ার দিন চারেক পরেই এবার সরাসরি পদক্ষেপ করার উদ্যোগ নিল রাজ্যে সদ্য ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
অবশ্য ওই ধরণের সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির দেওয়ার পর কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিতর্ক আদালত পর্যন্তও গড়ায়। আর কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রবীন বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছিলেন, শিক্ষাঙ্গণে হিজাব নিষেধাজ্ঞার মত সিদ্ধান্ত নমা নিলেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পদ্ম শিবিরের নেতার আশঙ্কাকে বাস্তব প্রমাণ করে বিধানসভা ভোটে পরাজিত হয়েছেন হিজাব নিষেধাজ্ঞা জারি করা সে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ক্ষমতায় এসেই তাই নীতি পুলিশগিরি আটকানোর চেষ্টা করছেন সিদ্ধারামাইয়ারা।