তাঁর দ্বিতীয় বার্তায় শুভাংশকে বলতে দেখা যাচ্ছে, ‘‘স্পেস থেকে নমস্কার৷ অন্যান্য মহাকাশচারীদের সঙ্গে দারুণ রোমাঞ্চকর সফর কাটাচ্ছি৷ যখন যাত্রা শুরু হয়, হঠাৎ পিছনে একটা ধাক্কা, তারপর হঠাৎ দেখলেন আপনি শূন্যে ভাসছেন৷’’
বিষয়টা মোটেই সহজ, আরামদায়ক অনুভূতি ছিল না বলে জানিয়েছেন শুভাংশু৷ বলেন, ‘‘যখন প্রথম শূন্যে ঢুকি, খুব একটা ভাল লাগছিল না৷ বাকিরা বলছে আমি নাকি কাল থেকে প্রচুর ঘুমোচ্ছি৷ আমি বাচ্চার মতো শিখছি৷ স্পেসে কী ভাবে খেতে হয়, কী ভাবে হাঁটতে হয়৷’’
advertisement
শুভাংশু সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন একটি ছোট্ট সাদা হাঁসের সফ্ট টয়৷ মিষ্টি দেখে এই হাঁসটা শুভাংশুর মহাকাশ সফরের সঙ্গী৷ কিন্তু, কেন জানেন? শুভাংশু জানিয়েছেন, ভারতীয় ঐতিহ্যে হাঁসকে জ্ঞানের প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়৷ শুভাংশ বলেছেন, ‘‘আমি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাঁরা এই সফরে আমার পাশে ছিলেন৷ এটা আমার কার সফর নয় আমার পরিবার আমার বন্ধুরা সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন৷’’
২৫ জুন ফ্লরিডার স্থানীয় সময় ১২ টা বেজে ১ মিনিটে লঞ্চ হয় Axiom-4 mission৷ নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস এক্স ড্রাগন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয় ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে৷
আরও পড়ুন: রাকেশ শর্মার ৪১ বছর পরে… লখনউর রাস্তা থেকে মহাকাশের পথে শুভাংশু শুক্লা! জানেন ছেলেটা কে?
অ্যাক্সিওম ৪ মিশনের নেতৃত্বে আছেন প্রাক্তন নাসা মহাকাশচারী পেগি হুইটসন, যিনি বর্তমানে অ্যাক্সিওম স্পেসের কম্যান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন পোল্যান্ডের (ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা) স্লাওস উজানানস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবোর কাপু, দুজনেই মিশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লা মিশনের পাইলট হিসেবে তাঁদের সাথে যোগ দিয়েছেন।