অন্তত ১০০ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করে তদন্তে পাওয়া ইলেক্ট্রনিক ও ফরেন্সিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাত ২টোর সময় অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হঠাৎ ফোন! ওপার থেকে ভেসে এল 'শাহরুখ খান বলছি..'
দিল্লি পুলিশের দাবি, নার্কোটেস্ট করার সময় বান্ধবী শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছিলেন আফতাব। খসড়া চার্জশিটে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে, পুলিশের এই খসড়া চার্জশিট খতিয়ে দেখছে সরকারের আইনি বিশেষজ্ঞেরা।
advertisement
এছা়ড়াও, দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গলে পাওয়া দেহাংশের টুকরোর মাইটোকনড্রিয়াল ডিএনএ-র পরীক্ষাও করছেন তদন্তকারীরা। জানুয়ারি মাসের শেষেই দিল্লি পুলিশ আদালতে এউ চার্জশিট পেশ করবে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর।
মুম্বইয়ে থাকাকালীন কর্মসূত্রে আলাপ হয়েছিল বছর সাতাশের শ্রদ্ধা অয়াকার এবং আফতাব পুণেওয়ালার। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু শ্রদ্ধার বাড়ির লোকজন এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় দুজনে মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে চলে আসে এবং এক সঙ্গে থাকতে শুরু করে।
অভিযোগ ওঠে, গত বছর ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে তাঁর শরীরে ৩৫ টুকরো করেন পেশায় শেফ আফতাব। দেহের টুকরো রাখার জন্য ৩০০ লিটারের একটি রিফ্রেজিরেটরও কেনেন আফতাব, দোকানে দোকানে ঘুরে কিনেছিলেন মাংস কাটার ভাল ছুরিও। এরপরে, প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে রাত ২ টোয় বেরিয়ে দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গল সহ একাধিক জায়গায় শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আফতাব।
শ্রদ্ধার ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন, ঘটনার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিতে চাইছিলেন শ্রদ্ধা। তাছাড়া, আফতাবও তাঁদের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। এর মধ্যেই গত ১৮ মে চূড়ান্ত বচসায় জড়িয়ে পড়েন শ্রদ্ধা-আফতাব। এরপরেই আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে অনুমান পুলিশের।