শিবামোগার ডোড্ডাপেটের বাসিন্দা আজান খান। বয়স মাত্র ৮ বছর। অল্প বয়স থেকেই জটিল হৃদরোগে ভুগছে। বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। আজানের বাবা-মায়ের কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে পারেন শিবামোগার এসপি মিঠুন কুমার। তারপরই সিদ্ধান্ত নেন, আজানের স্বপ্নপূরণ করতেই হবে। কর্মকর্তাদের বলেন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই একদিনের ইন্সপেক্টর হয় আজান।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (অতীতে ট্যুইটার)-এ তিনি লিখেছেন, ‘‘শিবামোগা শহরের আজান খান, বয়স মাত্র ৮ বছর। জটিল হৃদরোগে আক্রান্ত। বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হতে চায়। আজানের বাবা-মায়ের অনুরোধে আজানকে প্রতীকীভাবে একদিনের জন্য ডেড্ডাপট থানার পিআই পদের দায়িত্ব সামলানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন– এই ৫ আচরণই চিনিয়ে দেবে অহঙ্কারীদের; সময় থাকতেই দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক!
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে এসপি মিঠুন কুমার বলেন, ‘‘আজানের বাবা আমাদের কাছে এসে গোটা ঘটনা বলেন। আমরা মানবিক কারণেই তা অনুমোদন করেছি। আজানও খুব উৎসাহী ছিল। তৎপরতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। ভিজিটর রেকর্ডে সাইন ইন করেছে। একজন কর্মীকে ছুটির অনুমোদনও দিয়েছে ৷’’
থানায় আজানের কাজ করার কিছু ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সাবলীলভাবে কথা বলছেন আজান। কোনওটায় টেবিল চেয়ারে বসে কাজ করছেন, তো কোনওটায় টহল দিচ্ছেন থানার মধ্যেই। এমনকী থানার কয়েকটি ফাইলে চোখ বোলাতেও দেখা গিয়েছে আজানকে। খুব মন দিয়ে ফাইলগুলো পড়ে তাতে সইও করে আজান।
খাকি উর্দি পরে আজান ঢুকছে ডোড্ডাপেট থানায়। এই দৃশ্য দেখে চোখের জল আটকাতে পারেননি বাবা তবরেজ এবং মা নাগমা খান। ছেলের স্বপ্নপূরণের জন্য কর্ণাটক পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। এমন মানবিক কাজের জন্য সাধারণ মানুষও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে শিবামোগার পুলিশকে।