সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডিগোর উদ্বোধনী উড়ান সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়বে। আর সকাল ১১টা ০৫ মিনিট নাগাদ তা অবতরণ করবে শিবমোগ্গা বিমানবন্দরে। উদ্বোধনী এই উড়ানের যাত্রী তালিকায় রয়েছেন এমবি পাটিল এবং মধু বঙ্গারাপ্পার মতো রাজ্যের মন্ত্রীরা। থাকছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, সাংসদ বিওয়াই রাঘবেন্দ্র এবং মালনাড় অঞ্চলের আরও কয়েক জন জনপ্রতিনিধিও।
advertisement
আরও পড়ুন- চাঁদ এত গরম, অপ্রত্যাশিত তাপমাত্রার রেকর্ড! বিক্রমের রিপোর্টে অবাক বিজ্ঞানীরা
আর এই শিবমোগ্গা বিমানবন্দরই হবে প্রথম বিমানবন্দর, যা পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে রাজ্য সরকারের উপর। কর্ণাটকের মন্ত্রী এমবি পাটিল উল্লেখ করেছেন যে, প্রাথমিক ভাবে এই উড়ান পরিষেবায় ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। এমনকী ইতিমধ্যেই আগামী তিন সপ্তাহের টিকিটও বুক হয়ে গিয়েছে।
কর্ণাটক রাজ্যে শিবমোগ্গাই ইন্ডিগোর ষষ্ঠ গন্তব্য হতে চলেছে। অর্থাৎ বেঙ্গালুরু, মহীশূর, ম্যাঙ্গালুরু, হুব্বলি এবং বেলাগাভির পাশাপাশি স্থান করে নিল শিবমোগ্গাও। বর্তমানে সরাসরি উড়ানের লক্ষ্য হল, এই বিমানবন্দরের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ বাড়ানো। মূলত বেঙ্গালুরু হয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডোমেস্টিক এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে শিবমোগ্গা বিমানবন্দরের সংযোগ বাড়ানোর কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
প্রায় ৬৬৩ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে শিবমোগ্গা বিমানবন্দরটি। এর পিছনে প্রায় ৪৪৯.২২ কোটি টাকা ঢালা হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে এই বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, বিমানবন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংটির নকশা এমন ভাবে করা হয়েছে, যাতে সেটি প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারে।
শিবমোগ্গা বিমানবন্দরই কর্ণাটকের নবম ডোমেস্টিক বিমানবন্দর হতে চলেছে। বর্তমানে রাজ্যের ডোমেস্টিক বিমানবন্দর রয়েছে বেঙ্গালুরু, মহীশূর, বল্লারি, বিদর, হুব্বলি, কালবুর্গী, বেলাগাভি এবং ম্যাঙ্গালুরুতে। আর বেঙ্গালুরু এবং ম্যাঙ্গালুরুর বিমানবন্দরই রাজ্যের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
তবে কর্ণাটকে দ্বিতীয় বৃহত্তম রানওয়ে তৈরি হয়েছে এই শিবমোগ্গা বিমানবন্দরেই। যা প্রায় ৩২০০ মিটার দীর্ঘ। ফলে কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরেই নিজের স্থান পাকা করতে পেরেছে এই নতুন বিমানবন্দরটি। এমনকী, শিবমোগ্গা বিমানবন্দরের রানওয়ের নকশা এমন ভাবে বানানো হয়েছে, যাতে এখান দিয়ে বোয়িং ৭৩৭ এবং এয়ারবাস এ৩২০-র মতো বিমান চলাচল করতে পারে।