কংগ্রেসের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবার সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। এর আগে ২০১৭ সালে রাহুল গান্ধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে গত চার বছরে সারা দেশে কংগ্রেসের দৈন্য দশা আরও প্রকট হয়েছে। বলা চলে, অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুন- গোটা সপ্তাহ জুড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ঘুরছে বাঘ! বন্ধ ক্যাম্পাস, আতঙ্কে এলাকাবাসী
advertisement
কংগ্রেসের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে সোমবারের সভাপতি নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কর্নাটকের মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং কেরলের সাংসদ শশী থারুরের মধ্যে জোরদার লড়াই হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দেশের প্রতিটি রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস দফতর এবং দিল্লিতে এআইসিসি-র অফিসে আগামীকাল ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ৯ হাজারের বেশি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে এই ভোটগ্রহণ।
১৮ অক্টোবর প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস দফতর থেকে ব্যালট বক্স পৌঁছবে দিল্লিতে এআইসিসি-র দফতরে। ১৯ অক্টোবর গণনা ও ফল প্রকাশ হবে। অর্থাৎ সেদিনই কংগ্রেসের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে পার্টির তরফে।
জানা যাচ্ছে, দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে ৫০জনের বেশি কংগ্রেস কর্মী ভোট দেবেন। সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিংও ভোট দেবেন। অনেকেই বলছেন, সভাপতি নির্বাচনে একটু হলেও এগিয়ে রয়েছেন খাড়গে। কারণ তিনি গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ। শশী থারুর সুবক্তা। তবে তিনি সভাপতি নির্বাচনে তেমন আমল পাবেন না বলেই ধারণা করছেন অনেকে।
শশী থারুর জানিয়েছেন, তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে কংগ্রেসে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেন। যদিও কংগ্রেসেরই বেশ কিছু কর্মীর মত, তৃণমূল স্তরে রাজনীতি কখনও করেননি থারুর। তাই তার পরিবর্তনের ডাকে অনেকেই সাড়া নাও দিতে পারেন।