শশী থারুর জানিয়েছেন, যে ২৩ জন নেতা ২০২০ সালে কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধিকে সাংগঠনিক সংস্কার চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন, তিনি তাঁদের মধ্যে ছিলেন। “একজন নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হল আসলে দলের পুনরুজ্জীবনের একটি সূচনা, যা এই মুহূর্তে কংগ্রেসের খুব প্রয়োজন,” বলেন তিরুবনন্তপুরমের এই সাংসদ। সামগ্রিকভাবে দলের পুনর্নবীকরণের প্রয়োজন। তবে সবচেয়ে জরুরি নেতৃত্বের অবস্থান যা পূরণ করার জন্য নতুন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন প্রয়োজন বলেই মনে করেন শশী থারুর।
advertisement
আরও পড়ুন- স্টেশন থেকে অপহৃত শিশুর সন্ধান মিলল ফিরোজাবাদের বিজেপি নেতার বাড়িতে
তিনি বলেন, “দলের কী সমস্যা আছে তা ঠিক করার জন্য সভাপতির একটি পরিকল্পনা থাকা উচিত, পাশাপাশি ভারতের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি। একটি রাজনৈতিক দল দেশের সেবা করার হাতিয়ার, নিজেই নিজে ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য নয়।” “যেভাবেই হোক, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়াই সমস্যা সমাধানের জন্য সুস্থ উপায়,” মনে করেন শশী।
দলের নানা পদ ছেড়েছেন একাধিক প্রবীণ নেতা। সেই প্রসঙ্গে শশী বলেন, “মূল্যবান এই সহকর্মীদের প্রস্থানে আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত, কারণ আমি চাইতাম যে এই বন্ধুরা দলে থাকুক এবং দলের সংস্কারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাক।”
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে নতুন সমীকরণ! দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে বৈঠকে রাজ ঠাকরে, হঠাৎ জল্পনা
দলের অভ্যন্তরীণ উত্থান-পতনের মুখোমুখি হয়ে, কংগ্রেস রবিবার ঘোষণা করেছে যে দলীয় সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। ফল ঘোষণা করা হবে ১৯ অক্টোবর। নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ২২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর এবং চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি হবেন বলেও জল্পনা শোনা গিয়েছিল। তবে তিনি জানান, রাহুল গান্ধিকেই আবার দলের লাগাম ধরতে রাজি করার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে। ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচনে দল টানা দ্বিতীয়বার পরাজিত হওয়ার পরে রাহুল গান্ধি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
