এদিন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর জানান, ‘ভারত ভবিষ্যতের আক্রমণের থেকে ভয় পায় না’। তিনি আরও বলেন, “ওরা আমাদের আঘাত করবে ভেবে ভয় পাই না। যদি ওরা আবার আঘাত করে, তাহলে আরও খারাপভাবে সে আঘাত ফিরে পাবে।’’
advertisement
গুয়ানায় শশী থারুর জানান, ‘‘আমাদের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কোনও ইচ্ছা ছিল না।’’ তিনি বলেন, ‘‘জোর দিয়ে বলেছেন যে “প্রতিটি আঘাত প্রতিশোধমূলক ছিল, ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপ শুধুমাত্র পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছিল।’’ ভারতের ধারাবাহিক কূটনৈতিক বার্তা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শশী থারুর জানান, ‘‘যখন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়, তখন আমরা স্পষ্ট বার্তায় জানিয়েছিলাম যে আমরা যুদ্ধে আগ্রহী নই।’’
পাকিস্তানের মিলিটারি জেনারেলই প্রথম যোগাযোগ করেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে। এদিন ফের একবার ১০ মে-র ঘটনা স্পষ্ট করে দিলেন শশী। তিনি বলেন, ‘‘যদি পাকিস্তান থামে, আমাদের প্রতিশোধ নেওয়ার কোনও কারণ থাকবে না। এবং শেষ পর্যন্ত, ১০ই মে সকালে ওরা(পাকিস্তান) আমাদের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’’
ভারত শান্তি চায়, শান্তিতে থাকতে জানিয়ে দিলেন শশী থারুর। ভারত সরকারের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থানের কথা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৭ জন সাংসদকে নির্বাচন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সেই ৭ জন সাংসদের নেতৃত্বে ৭টি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশে যাবেন এবং সেখানে ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা ব্যক্ত করবেন৷ এই সাতটি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।