পানামা সিটিতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “কিছু মহিলা সন্ত্রাসীদের সামনে চিৎকার করে বলেছিলেন যে তাঁদেরও হত্যা করা হোক, আর সন্ত্রাসবাদীরা বলেছিল, ‘না, ফিরে যাও, বলো তোমাদের সঙ্গে কী হয়েছে’। আমরা সে কথা শুনেছি, আমরা তাঁদের ক্রন্দনধ্বনি শুনেছি এবং ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সিঁদুরের রঙ, আমাদের নারীদের সিঁথির সিঁদুরের রঙ, খুনি, অপরাধী, আক্রমণকারীদের রক্তের রঙের সঙ্গেও মিলবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন যে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োজনীয় ছিল কারণ এই সন্ত্রাসবাদীরা এসে ২৬ জন মহিলার সিঁথি থেকে সিঁদুর মুছে দিয়েছিল।”
আরও পড়ুন : ‘ফাঁকি দিলেই…’, এবার বিদেশি পড়ুয়াদের বিরাট হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের! কোপে পড়বেন ভারতীয়রাও
শশী থারুর বলেন, “আমরা সকলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক পটভূমি এবং ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে এসেছি, কিন্তু জাতীয় উদ্দেশ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ২২ এপ্রিল, ২০২৫ পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর আমরা অপেক্ষা করেছিলাম যে পাকিস্তান সরকার এই ভয়াবহ অপরাধের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে কি না। যখন স্পষ্টতই কিছুই করা হচ্ছিল না, তখন দুই সপ্তাহ পরে, ৭ মে, ২০২৫ আমরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জঙ্গি ঘাঁটির সদর দফতরে আক্রমণ করি। যুদ্ধ শুরু করার ব্যাপারে আমাদের কোনও আগ্রহ ছিল না, তবে আমরা মনে করি যে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের শাস্তি পাওয়া উচিত।”
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিঁদুর-এর অধীনে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নির্বাচিত সেই সব জঙ্গি ঘাঁটিতেই হামলা চালিয়েছে, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছিল।