আরও পড়ুন: আপনার অ্যাকাউন্টে এখনও আসেনি ১১তম কিস্তির টাকা ? জেনে নিন কেন...
শেয়ার বাজার খোলার পরে বহু স্টকের ভবিষ্যতের দর এনএসই (NSE)-তে আপডেট করা যাচ্ছিল না। কিন্তু কিছুক্ষণ এই সমস্যা চলার পরে ৯টা ৩৫ মিনিট নাগাদ এই সমস্যা শেষ হয়। দাম আপডেট না-হওয়ায় কিছুক্ষণ ধরে একটা বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পেট্রোল ও ডিজেলের নয়া রেট জারি, দেখে নিন আপনার শহরে কত টাকায় মিলবে জ্বালানি
অপরিশোধিত তেলের দাম অন্যতম বড় নেতিবাচক ফ্যাক্টর:
মার্কেট বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমবার মার্কিন বাজারগুলিতে সামান্য উর্ধ্বগতি দেখা গেলেও ভারতীয় বাজারে তা হয়নি। কারণ ওই দিন ভারতীয় শেয়ার বাজার পতনের সঙ্গেই খুলতে দেখা যায়। আসলে সারা বিশ্বে খারাপ সঙ্কেতের কারণে শেয়ার বাজারে চাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। তাছাড়া এর অবশ্য আর একটা কারণও রয়েছে। আর সেটা হল- অপরিশোধিত তেলের মূল্য বৃদ্ধি। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা হচ্ছে ১২০ ডলারের বেশি দরে। আসলে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেলে তা ভারতীয় বাজারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর সেখানে আপাতত অপরিশোধিত তেলের এই দাম কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
একই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির সমস্যাও জারি রয়েছে। আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তিন দিন ব্যাপী বৈঠকের দ্বিতীয় দিন এবং সেই হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীরা সুরক্ষামূলক পন্থা অবলম্বন করছেন। এখন সকলেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং আসন্ন মার্কিন পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদেশ ভ্রমণে নগদ বিপত্তি! জেনে নিন কী ভাবে ব্যবহার করা যাবে ক্রেডিট কার্ড
বিক্রিবাটা চালিয়ে যাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা:
এনএসই থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিদেশী সংস্থাগত বিনিয়োগকারীরা (এফআইআই) ৬ জুন মোট ২৩৯৭.৬৫ কোটি টাকার শেয়ারের বিক্রয় করেছে। সেখানে দেশীয় সংস্থাগত বিনিয়োগকারীরা (ডিআইআই) মোট ১৯৪০ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় করেছে। গত আট মাস ধরে একটানা বিক্রিবাটা করছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের পরে এফপিআই ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বিক্রিবাটা করেছে। আর যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভারতীয় শেয়ার বাজারেও।