সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রী শারদা ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের BDS ছাত্রী। সোমবার ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর সামনে আসার পর থেকেই তুমুল হইচই। স্যুইসাইড নোটে ছাত্রী লিখেছেন, ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য PCP এবং ডেন্টাল মেটেরিয়াল-এর শিক্ষকরা দায়ী। আমি চাই ওরা জেলে যাক। ওঁরা আমাকে মানসিকভাবে হেনস্থা করেছে। আমাকে অপমান করেছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে ওঁদের কারণে চাপের মধ্যে ছিলাম। আমি চাই তারা একই জিনিসের মুখোমুখি হোক।’’
advertisement
ঘটনার পরই ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা। ছাত্র ছাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জবাবদিহির দাবি করেন। পুলিশ কর্মী এবং প্রতিবাদকারী ছাত্রদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও ঘটে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ ইতিমধ্যে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে, বলেছেন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, বালাসোরের ইন্টিগ্রেটেড বি.এড কলেজে ২০ বছর বয়সি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তাঁর কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরের কাছেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন৷ তাঁকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি৷ ওই ছাত্রী তাঁর ডিপার্টমেন্টের প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে৷ কিন্তু, অভিযোগ তা নিয়ে পক্ষপাতিত্বমূলক রিপোর্ট তৈরি করে ইন্টারনাল কমপ্লেইন্ট কমিটি৷