শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। নাড্ডাকে শান্তনুর নালিশ, গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ৭৭ টি আসন পাওয়ার পেছনে মতুয়া সম্প্রদায়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। তা সত্বেও জেলা ও আঞ্চলিক কমিটি গঠনে মতুয়া নেতাদের অবহেলা করা হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে নেতাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি পাঁচ বিধায়কের নাম উল্লেখ করেছেন এবং তাঁদের অসন্তোষের কথা না ডাকে জানিয়েছেন। এই ৫ বিধায়ক হলেন অসীম সরকার, অম্বিকা রায়, সুব্রত ঠাকুর, মুকুটমণি অধিকারী এবং অশোক কীর্তনিয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আরও পাঁচটি গেল মনে হচ্ছে', BJP-কে বিঁধে বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়! গেরুয়া শিবিরে ঝড়
পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট তলব করে প্রয়োজনে কমিটিতে পুণরায় রদবদলের আশ্বাস দিয়েছেন নাড্ডা। উল্লেখ্য, সদ্য নতুন করে গঠিত হয়েছে বিজেপি-র রাজ্য কমিটি। আর সেই কমিটিতেই মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব না থাকার অভিযোগ তুলে বিজেপি বিধায়কদের অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ 'লেফট' করেছেন বিধায়ক অসীম সরকার, অম্বিকা রায়, সুব্রত ঠাকুর, মুকুটমণি অধিকারী এবং অশোক কীর্তনিয়া।
আরও পড়ুন: 'ভুল চিন্তাভাবনা এসেছিল', সুকান্ত মজুমদারের কাছে 'ভুল' স্বীকার বিধায়কের! কিন্তু কেন?
আর বড়দিনে এই ঘটনা নিয়েই আলোড়ন পড়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। সুযোগ বুঝে কটাক্ষের বাণ ছুঁড়েছেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ট্যুইটারে বাবুল লিখেছেন, ''নিজগুনে পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির | আজ আরও পাঁচটি গেলো মনে হচ্ছে | শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাশে গেছেন | আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান - মুরলীধর লেন।''