৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির দায়ের করা আপিলে সমর্থন দিয়ে বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক (A Muhamed Mustaque) এবং কৌসার এডাপ্পাগাথ (Kauser Edappagath) বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলায় জোর করে সম্পর্ক স্থাপনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-গায়ের ওপর আচমকা টিকটিকির লাফ! শরীরের কোন অংশে টিকটিকি পড়লে কী হয়?
ট্রায়াল কোর্টের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়কে স্থগিত রেখে হাই কোর্ট তার ৩০ মার্চের রায়ে জানিয়েছে যে, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বিয়ের আগে প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন এবং বিয়ের কয়েকদিন আগে তাঁরা শারীরিক ভাবে মিলিত হন। ওই ব্যক্তি তিন দফায় অভিযোগকারিণীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হন।
advertisement
আদালত এও জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষার সদিচ্ছা ছিল। তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, তাই শারীরিক ভাবে মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পরিবারের কারণে বিয়ের প্রতিশ্রুতি রাখতে অসমর্থ হন। বিবাহের পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে তাঁর পরিবারের পণের চাহিদা যা পূরণ করা অভিযোগকারিণীর পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
আরও পড়ুন-সদ্যোজাতর হাত যেন মেহেন্দিতে রাঙা! নবরাত্রিতে জন্ম হওয়া এই শিশুকে ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে
আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে যে, প্রসিকিউশনের পক্ষে অন্য কোনও প্রমাণের অভাবে, অভিযুক্তের আচরণকে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, কিন্তু ধর্ষণ হিসেবে নয়।
একই মামলায় এর আগে ট্রায়াল কোর্ট ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করেছিল। এর পর ওই ব্যক্তি হাই কোর্টে এই দায়ের করা মামলার জন্য আপিল করেন। সম্প্রতি কেরল হাই কোর্ট দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলায় ওই ব্যক্তিকে বেকসুর বলে খালাস করেছে।