TRENDING:

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক কি ধর্ষণ? জানুন কী জানাল কেরল আদালত

Last Updated:

৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির দায়ের করা আপিলে সমর্থন দিয়ে বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং কৌসার এডাপ্পাগাথ বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলায় জোর করে সম্পর্ক স্থাপনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#তিরুঅনন্তপুরম: কেরল হাই কোর্টে দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে এক ব্যক্তিকে বেকসুর বলে ছাড় দেওয়া হল। ওই ব্যক্তিকে ট্রায়াল কোর্ট প্রেমিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। কিন্তু এই ঘটনায় হাই কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছে যে, বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন মিলনের সম্পর্ককে তখনই ধর্ষণ বলে সাব্যস্ত করা হবে যখন অভিযুক্ত অভিযোগকারীর অসম্মতিকে লঙ্ঘন করবে। অথচ এই ঘটনায় অভিযোগকারীর পক্ষে এরকম কোনও প্রমাণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই হাই কোর্ট এই মামলায় ওই ব্যক্তিকে বেকসুর বলে খালাস করেছে (Sex on Promise to Marry।
Kerala High Court
Kerala High Court
advertisement

৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির দায়ের করা আপিলে সমর্থন দিয়ে বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক (A Muhamed Mustaque) এবং কৌসার এডাপ্পাগাথ (Kauser Edappagath) বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলায় জোর করে সম্পর্ক স্থাপনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন-গায়ের ওপর আচমকা টিকটিকির লাফ! শরীরের কোন অংশে টিকটিকি পড়লে কী হয়?

ট্রায়াল কোর্টের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়কে স্থগিত রেখে হাই কোর্ট তার ৩০ মার্চের রায়ে জানিয়েছে যে, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বিয়ের আগে প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন এবং বিয়ের কয়েকদিন আগে তাঁরা শারীরিক ভাবে মিলিত হন। ওই ব্যক্তি তিন দফায় অভিযোগকারিণীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হন।

advertisement

আদালত এও জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষার সদিচ্ছা ছিল। তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, তাই শারীরিক ভাবে মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পরিবারের কারণে বিয়ের প্রতিশ্রুতি রাখতে অসমর্থ হন। বিবাহের পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে তাঁর পরিবারের পণের চাহিদা যা পূরণ করা অভিযোগকারিণীর পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

advertisement

আরও পড়ুন-সদ্যোজাতর হাত যেন মেহেন্দিতে রাঙা! নবরাত্রিতে জন্ম হওয়া এই শিশুকে ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে

আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে যে, প্রসিকিউশনের পক্ষে অন্য কোনও প্রমাণের অভাবে, অভিযুক্তের আচরণকে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, কিন্তু ধর্ষণ হিসেবে নয়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

একই মামলায় এর আগে ট্রায়াল কোর্ট ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করেছিল। এর পর ওই ব্যক্তি হাই কোর্টে এই দায়ের করা মামলার জন্য আপিল করেন। সম্প্রতি কেরল হাই কোর্ট দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলায় ওই ব্যক্তিকে বেকসুর বলে খালাস করেছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক কি ধর্ষণ? জানুন কী জানাল কেরল আদালত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল