প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে, এবং নিখোঁজদের সংখ্যা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে সিএনএন-নিউজ১৮-কে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে, এবং একটি শিশুকন্য -সহ চার জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বাসটিতে ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে, যদিও সঠিক সংখ্যা এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
advertisement
হিমাচল প্রদেশে ফের ভয়াবহ ভূমিধস। মঙ্গলবার বিলাসপুর জেলায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের।
দুর্ঘটনার সময় বাসে বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা। উদ্ধারকার্য চলছে, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফ ও দমকল বাহিনী।
প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও কাদা জমে থাকায় উদ্ধারকাজে বিপুল সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য। পাশাপাশি, একাধিক জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে মাটি ও পাথরের স্তূপ সরানো হচ্ছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুক্কু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন,
“বিলাসপুর জেলার ঝান্ডুটা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বালুঘাট (ভল্লা ব্রিজ)-এর কাছে ভয়াবহ ভূমিধসের খবর আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। এই ভূমিধসে একটি বেসরকারি বাস ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে, যেখানে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও কয়েকজন এখনও আটকে রয়েছেন ধ্বংসাবশেষের নীচে। উদ্ধার অভিযান যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে।”
মুখ্যমন্ত্রী সুক্কু প্রশাসনকে পুরো শক্তি নিয়ে উদ্ধারকার্যে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন,
“আমি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছি এবং প্রতিটি মুহূর্তে উদ্ধার অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছি। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। শোকগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ঈশ্বর শক্তি দিন। এই কঠিন সময়ে আমি সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছি।”
বর্তমানে এলাকায় এনডিআরএফ, পুলিশ, দমকল এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিশাল বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় উদ্ধারকাজে চরম সমস্যা হচ্ছে।