বুধবার অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৃতীয় ট্রায়াল হঠাৎই বন্ধ করে দেয় ব্রিটেন। বলা হয়, গ্লোবাল ট্রায়ালই স্থগিত করা হচ্ছে। এমনকি পরের ধাপে শুরু হওয়া আরও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলা ট্রায়ালও বন্ধ হচ্ছে। যদিও এই ভ্যাকসিন নেওয়ায় ঠিক কী ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে তা ভেঙে বলেনি অ্যাস্ট্রোজেনেকা।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে,কেন ভারতে মানবদেহে এই কোভিশিল্ড বন্ধ হচ্ছে না। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে বুধবার রাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই) অ্যাস্ট্রোজেনেকাকে চিঠিও দেয়।
advertisement
বায়োএথিকস গবেষক অনন্ত ভান নিউজ ১৮কে বলেন, "একই ভ্যাকসিনে পরীক্ষা চলছে দু'দেশে। যদি কোনও বিপদ সঙ্কেত পাওয়া যায়, একজনও যদি বিপদগ্রস্ত হয় এবং ব্রিটেন যদি পরীক্ষা বন্ধ করে সাময়িক ভাবে ভারত কেন করবে না?" তিনি বিষয়টিতে নীতি নির্ধারক সংস্থার হস্তক্ষেপের বিষয়েও মত প্রকাশ করেন।
অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ১০০ কোটি কোভিশিল্ড তৈরি করতে চায় ভারত। এই কারণে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি স্বেচ্ছাসেবকদের বেছে নিয়ে টিকা পরীক্ষা হওয়ার কথা এদেশে। প্রথম দু'টি ধাপ সম্পন্ন হওয়ায় গত মাসে অ্যাস্ট্রোজেনেকাকে তৃতীয় ডোজ দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কথা ছিল ১৭টি কেন্দ্রে ১৬০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই পরীক্ষা হবে। যদিও সেই পরীক্ষা এখনও থমকে রয়েছে। কিন্তু যখন খোদ ব্রিটেনই বিপদসঙ্কেত দিচ্ছে তখন পরীক্ষা শুরুর দরকার কী, প্রশ্নটা তাই নিয়েই।