গুলাম হায়দারের আইনজীবী আলি মোমিন জানিয়েছেন যে, মীনা দম্পতিকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এক মাসের মধ্যে জরিমানার অর্থ জমা করতে হবে। না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন – ‘সিপিআইএম যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই এখন বিজেপিতে’, মেদিনীপুরের সভা থেকে আক্রমণ মমতার
এর আগে সংবাদসংস্থা নিশ্চিত রূপে জানিয়েছিল যে, সেরা পাকিস্তানি আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী আনসার বার্নি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন গুলাম হায়দারের দিকে। পরে বার্নি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে মোমিনকে নিয়োগ করা হয়েছে আর ভারতে আইনি কার্যক্রম শুরু করার জন্য পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিকে পাঠানো হয়েছে।
advertisement
নিজের বিতর্কিত প্রেমের জন্য সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন পাক-নাগরিক সীমা হায়দার। একটি অনলাইন গেম খেলার সূত্রে ভারতীয় যুবকের সঙ্গে আলাপ। আর সেই প্রেমের টানেই কাঁটাতার পেরিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন পড়শি দেশ ভারতে। তবে সীমার বিরুদ্ধে উঠেছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। সেই কারণে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজরদারির আওতায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
৩০ বছর বয়সী সীমা আদতে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা। গত বছরের মে মাসে গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা সঙ্গী সচিন মীনার সঙ্গে দেখা করার জন্য বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রাক্তন স্বামীর নাম গুলাম হায়দার। চার সন্তানের মা-বাবা তাঁরা। গুলাম বর্তমানে সৌদি আরবে থাকেন। গত বছরের ১৩ মে সীমান্ত পেরিয়ে নিজের চার সন্তানকে নিয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন সীমা। আর বেআইনি ভাবে ভিসা ছাড়াই নেপাল দিয়ে ভারতে ঢোকার জন্য সীমাকে গত বছরের ৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে অবৈধ শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য জেলে পাঠানো হয়েছিল সচিনকেও।