অন্যান্য ছাত্ররা লক্ষ্য করে যে সে জলের নিচে চলে যায়। এরপর প্রায় দেড় মিনিট হয়ে গেলেও ছাত্রটি আর ভেসে ওঠেনি। তখন তারা তাকে টেনে তোলে এবং দ্রুত বিষয়টি জানান দেয়, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পুরী শহরের প্রতি গভীর ভালোবাসা! একাই সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করছেন জাপানি মহিলা…
সিং জানান, “প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ছাত্ররা সাধারণত কিছুক্ষণ শ্বাস ধরে রাখে। কিন্তু প্রায় দেড় মিনিট পরও সে উঠে না আসায় অন্যরা তাকে দ্রুত টেনে তোলে। স্কুলের কর্মীরা CPR দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও কোনও সাড়া মেলেনি। এরপর তাকে মুসৌরির কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।”
advertisement
সকাল ৭টার দিকে হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুলের ছাত্রদের ও কর্মীদের বয়ান নেয় এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। তবে এতে কোনও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, যদিও রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, মৃত ছাত্রের পরিবার দিল্লিতে মৃতদেহ নিয়ে গেছেন এবং তারা কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
দেহরাদুন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মুসৌরির কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে একটি মৃত্যু সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়েছে যে মুসৌরির একটি বোর্ডিং স্কুলের ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রকে মৃত অবস্থায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে স্কুল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, সুইমিং প্রশিক্ষণের সময় ছাত্রটি হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে এবং তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত উইনবার্গ-অ্যালেন স্কুলে বর্তমানে ৯০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, যার মধ্যে ৭০০ জন আবাসিক ছাত্র।