এদিন কেন্দ্রের তরফে আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রের কৌঁসুলি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা৷ নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিজের পদেই বহাল থাকবেন সঞ্জয়৷ প্রসঙ্গত, এ নিয়ে চতুর্থবার ইডি-র ডিরেক্টরের মেয়াদবৃদ্ধি করা হল৷ শেষবার, অর্থাৎ, গত ১১ জুলাই সঞ্জয়ে মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷
আরও পড়ুন: আবারও নন্দীগ্রাম! আবারও মমতা vs শুভেন্দু, একুশের ভোট নিয়ে তেইশেও তরজা দেখল বিধানসভা
advertisement
এদিন আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সামনের নভেম্বরের মধ্যেই রিভিউয়ের খাতিরে ভারতে আসছে গ্লোবাল টেরর ফিনান্সিং ওয়াচডগ বা FATF৷ এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী অনেক দেশই চায় ভারত FATF-এর ধূসর তালিকায় থাকুক৷ এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ইডি-র প্রধানে বদল আনা সমস্যার বলে মনে করে কেন্দ্র৷
পাল্টা শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘‘তবে কি বাকি আধিকারিকেরা অযোগ্য? মাত্র একজন অফিসারই এই কাজ করতে পারবেন? আমরা কি এটা প্রমাণ করছি না যে দফতরে আর কেউ নেই, একটা গোটা দফতর অযোগ্য লোকে ভর্তি?’’ উত্তরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, কোনও আধিকারিকই অপরিহার্য নন৷ কিন্তু এই সময় বিশেষ প্রয়োজন একটা ধারাবাহিকতা৷ বাদি-বিবাদি পক্ষের সওয়াল -জবাব শুনে শেষমেশ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জ কুমার মিশ্রার মেয়াদবৃদ্ধিতে সায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷
ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের আধিকারিক সঞ্জয়কুমার মিশ্রা ২০১৮ সালে প্রথম বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন। সে বার দু’বছরের জন্য ওই দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত এই আধিকারিক। এরপরে ২০২০ সালে তাঁর মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।
ইডির ডিরেক্টর হিসাবে পর পর তিন বার সঞ্জয়ের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, এই মুহূর্তে আর্থিক দুর্নীতির বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে জড়িত রয়েছে ইডি। ফলে সে সব তদন্তের স্বার্থেই ডিরেক্টর হিসাবে সঞ্জয়ের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।