হলফনামায় এসবিআই জানিয়েছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তারা মোট ২২,২১৭টি ইলেক্টোরাল বন্ড ছেড়েছিল৷ তার মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ২২,০৩০টি ইলেক্টোরাল বন্ড ভাঙিয়েছে৷ বাকি ১৮৭টি বন্ডের যা আর্থিক মূল্য তা প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে৷
advertisement
ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এই ব্যবস্থায় যে কোনও ব্যক্তি ইলেক্টোরাল বন্ড কিনে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলকে তা দান করতে পারতেন৷ তবে কোনও রাজনৈতিক দল যদি ১৫ দিনের মধ্যে ইলেক্টোরাল বন্ড না ভাঙায়, সেক্ষেত্রে সেই টাকা চলে যেত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে৷
যদিও ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এসবিআই-কে ইলেক্টোরাল বন্ড ছাড়া বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত কোন দল ইলেক্টোরাল বন্ডের সূত্রে কত টাকা পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়ার জন্য এসবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত৷
নির্বাচন কমিশনে তথ্য জমা দেওয়ার জন্য এসবিআই-কে ৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল এসবিআই৷ আর ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জনসমক্ষে আনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত৷
যদিও এসবিআই-এর পক্ষ থেকে তথ্য জমা দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়৷ সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে অবশ্য ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের মনোভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত৷ মঙ্গলবারের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে তথ্য জমা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ এসবিআই ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য জমা দেওয়ার পর তা শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে জনসমক্ষে আনতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷