আরও পড়ুনঃ ‘বড়’ রায় সুপ্রিম কোর্টের, বাচ্চা দত্তক নেওয়ার অধিকার সমকামী দম্পতিদের
প্রধান বিচারপতি শুনানিতে বলেন “বিশেষ বিবাহ আইনে বদল আনতে হলে সেটা সংসদ করতে পারবে। আদালতে কোনও ধারা যুক্ত করলে তা হস্তক্ষেপ করা হবে।” বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্টের কথায়, ‘প্রধান বিচারপতির রায়ের সঙ্গে আমি সহমত নই। সমলিঙ্গ বিবাহ আধুনিক বা প্রাচীন কোথাও মান্যতা পায়নি।সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দুজন ব্যক্তি নিজেদের ইচ্ছায় সহবাস করতে পারেন। স্বাধীনভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। অন্য সব ধরনের স্বাধীনতা বা অধিকার তাঁদের রয়েছে। কিন্তু আইনে কোথাও বৈবাহিক স্বীকৃতির কথা বলা নেই। কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে আইনে বদল এনে মান্যতা দিতেই পারে।’
advertisement
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সমকামী সম্পর্ককে বৈধ বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর, চলতি বছরের মে মাস থেকে সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে ম্যারাথন শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত ৫ বিচারপতির বেঞ্চে এর শুনানি হয়। ৫ বিচারপতির মধ্যে ছিলেন বিচারপতি এস.কে কাউল, বিচারপতি এস. আর ভাট বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি পি.এস নরসিমহা। তবে, গতকাল সোমবার সব শুনানি শেষ হয়। আর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ এই বিষয়ে রায় দিল শীর্ষ আদালত।
পশ্চিমের দেশ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া-সহ বহু দেশে সমলিঙ্গের বিয়ে আইনি স্বীকৃত পেয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এই রায়ের দিকে তাকিয়ে এলজিবিটিকিউ সমাজ।