অভিযোগ, একটি এনজিও-র আড়ালে ক্রাউড ফান্ডিং-এর নামে টাকা তছরুপ করেছেন সাকেত। অভিযোগ, সেই টাকা তোলার পরে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য টাকা খরচ করে সাকেত।
এই বিষয়ে একটি অভিযোগের ভিত্তিতেই গুজরাত পুলিশ দিল্লিতে এসে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। এখনও পর্যন্ত তিনি হেফাজতেই রয়েছেন। হেফাজতে থাকাকালীন এবার সাকেতকে গ্রেফতার করল ইডি।
advertisement
গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে দিল্লির চাণক্যপুরীর বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রাজস্থান এবং গুজরাত থেকেও সাকেতকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছিল তৃণমূল।
সাকেতের গ্রেফতারির পরে দিল্লির বঙ্গভবনের নিরাপত্তা দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। বঙ্গভবনে হানা দেওয়া নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে গুজরাত পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজ্য সরকার। যদিও সমস্ত দায় গুজরাত পুলিশের উপর চাপিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী গুজরাত পুলিশকে সাহায্য করা হয়েছে মাত্র। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ বা অন্যান্য কোনও ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। এবিষয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত রেসিডেন্ট কমিশনারের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎ এই ৭ জনের কাঁধে, জানেন কি কারা তৈরি করছেন দেশের বাজেট?
আরও পড়ুন, বাড়ি-ফ্ল্যাট-জমি কিনলে মিলবে সুবিধা? বাজেট ঘিরে বাড়ছে প্রত্যাশা
কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, বঙ্গভবন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্পত্তি। অনুমতি ছাড়া কেউ সেখানে গেলে রাজ্য সরকারকেও ব্যবস্থা নেবে। অনুমতি ছাড়াই দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। বঙ্গভবনে অনেক সময় তিনি ছাড়াও রাজ্যপাল, হাইকোর্টের বিচারপতিরা থাকেন বলেও ওই সভা থেকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।