কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এ দিন এই ঘোষণা করেন৷ তিনি দাবি করেন, সচিন পাইলটকে পরিবারের একজন ভেবে বার বার ফিরে আসার অনুরোধ করা হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেননি৷ বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হল দল৷ এ দিনই রাজস্থানের পরিষদলীয় দলের বৈঠক ছিল৷ তার পরেই এই ঘোষণা করা হয়৷ বিদ্রোহী বাকি বিধায়কদেরও শোকজ করা হয়েছে৷
advertisement
রণদীপ সুরজেওয়ালা দাবি করেন, সচিন পাইলট এবং তাঁর কয়েকজন সঙ্গী বিজেপি-র ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে রাজস্থানে জনতার দ্বারা নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছিলেন৷ তাই তাঁদের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ করা হল৷ এই বার্তার মাধ্যমে কংগ্রেস নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিল, দল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পাশেই রয়েছে৷
সচিন পাইলটের অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না৷ তাঁকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকেও সরানোর চেষ্টা করছেন৷ পাইলটের বিরুদ্ধেই আগেই সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্তের অভিযোগে মামলা করে রাজস্থান পুলিশের বিশেষ দল৷ এসব নিয়েই ক্ষোভ জানিয়ে হাইকম্যান্ডের কাছে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর দাবি জানান পাইলট৷ কিন্তু পাইলটের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ তবে তাঁর ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, পি চিদম্বরম, কে সি বেণুগোপালের মতো সিনিয়র নেতারা৷ যদিও নিজের দাবিতে অনড় থাকেন পাইলট৷
সচিন পাইলটের ঘনিষ্ঠরা এমনও দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে অন্তত ৩০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে৷ ফলে রাজস্থানে অশোক গেহলট সরকার এখন সংখ্যালঘু৷ কিন্তু বিধায়কদের বৈঠক ডেকে অশোক গেহলট প্রমাণ করে দেন, প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকে৷ সরকার বাঁচানোর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই পাইলটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করল কংগ্রেস৷
সচিন পাইলটের বিজেপি যোগের সম্ভাবনা যেমন শোনা যাচ্ছিল, সেরকমই তিনি নতুন দল তৈরি করতে পারেন বলেও খবর৷ এখন দেখার, তরুণ এই নেতা কী সিদ্ধান্ত নেন৷