রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ভারতীয় পড়ুয়াদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। দিল্লির রুশ দূতাবাসে তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ''সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের সেনা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের পণবন্দি করেছে এবং তাঁদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কোনও উপায়ে তাঁদের রাশিয়া যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর সম্পূর্ণ দায় কিভের।''
এখানেই শেষ নয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, যে সব ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ায় যেতে চাইছেন, তাঁদের খারকিভে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ ওই পড়ুয়ারা রাশিয়ায় পৌঁছতে পারলেই তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। প্রসঙ্গত, খারকিভের পতনের আগে রাশিয়ার তরফ থেকে সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়দের সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। এরপরই ভারত সরকারের তরফে খারকিভে আটকে থাকা ভারতীয়দের পায়ে হেঁটে হলেও পার্শ্ববর্তী তিন শহরে চলে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাড়ির ছাদে-ছাদে লাল চিহ্ন, এই কারণেই ভয়ে কাঁপছে ইউক্রেন! কী এই চিহ্নগুলি?
ওই অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, ভারতীয়রা যেন পিসোচিন (১১ কিমি), বাবাই (১২ কিমি) কিংবা বেজলিউদিভকা (১৬ কিমি)এ- চলে যান। এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় রাশিয়া খারকিভে আরও তীব্র আক্রমণ করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের তরফেও জানানো হয়েছে, খারকিভ দখল করেছে রুশ সেনা।
ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে দুই ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটেছে। যা নিয়ে দেশের অন্দরে সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে দেশের পড়ুয়াদের ফেরাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, রুশ সেনা ভারতীয়দের স্থানান্তর নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দাবি, তাদের নিজস্ব সামরিক পরিবহণ বিমানে ভারতীয় ছাত্রদের সরাতে তৈরি তাঁরা। কিন্তু ভারতীয়দের পণবন্দী করছে ইউক্রেনীয়রা। তাঁদেরকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তাঁদের সরে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।