সম্মান ও স্মৃতির চিহ্ন হিসেবে আরপিএফ-এর আধিকারিকরা নয়টি রাজ্যের এই সাহসী ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় গ্রামগুলি পরিদর্শন করেছেন। আরপিএফ এবং এই সাহসী ব্যক্তিদের গড়ে তোলা কমিউনিটির মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই গাম্ভীর্যপূর্ণ শ্রদ্ধাঞ্জলি তাঁদের আত্মত্যাগের উপর গুরুত্ব আরোপ করবে। এমনকি, আরপিএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলেন যে এই সাহসী ব্যক্তিদের প্রত্যেকেই কর্তব্য ও ত্যাগের সর্বোচ্চ স্তরের উদাহরণ দিয়ে গিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘এতদিনে খোলাখুলি স্বীকার করে নেওয়ার সময় এসেছে’…, দাম্পত্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক?
তাঁদের উত্তরাধিকারীরা রেলওয়ে এবং এর যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। সংবর্ধনা জানানো শহিদদের মধ্যে এন. এফ. রেলওয়ে থেকে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএফ/সিআইবি/নিউ জলপাইগুড়ি লেফ্টানেন্ট পি. বিশ্বকর্মা রয়েছেন, তিনি নিজেদের কর্তব্য পালনের সময় সর্বোচ্চ আত্মবলিদান দিয়েছিলেন।
শিলিগুড়ির চম্পাসারিতে জাতীয় শক্তি সংঘ ও পাঠাগারের কমিউনিটি হলে আরপিএফ-এর দ্বারা তাঁর স্মরণে একটি স্মারক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শহিদের পরিবারবর্গ, বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানটি আবেগিক সমাবেশের সাক্ষী হয়েছিল। সমগ্র ভারত জুড়ে শহিদদের সম্মানে দেশের বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত থাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাম ও বিদ্যালয়গুলিতে একই ধরনের স্মরণ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল আরপিএফ।
আরও পড়ুন- ফের ভয়ঙ্কর ভূস্বর্গ! সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা…! ২ জওয়ান-সহ মৃত ৪
প্রত্যেক শহিদ পরিবারকে আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ও সংবর্ধনার মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়, তাঁদের প্রিয়জনদের এই আত্মবলিদান কখনই ভোলা যাবে না বলে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। সমগ্র সপ্তাহটি পরিকল্পনামাফিক কর্মসূচির মাধ্যমে আরপিএফ নিজেদের বীর সাহসী ব্যক্তিদের স্মরণ করার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাতে দেশের রেলওয়ে ব্যবস্থা এবং এর যাত্রীদের রক্ষার্থে যে সমস্ত আরপিএফ জওয়ান সর্বোচ্চ আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের সাহস, ত্যাগ ও নিষ্ঠাকে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে আন্তরিক প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন ঘটেছে। সুরক্ষা শাখার এই শহিদ সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে এই বীরদের অদম্য চেতনা রেল লাইন জুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, যা তাঁরা এতটা নিষ্ঠার সাথে রক্ষা করেছিল, তাঁদের এই সাহসিকতা ইতিহাসের পাতায় চিরদিনের জন্য লেখা থাকবে।