গতকাল প্রাথমিক তদন্তের পর তরণতারণের এস এস পি গুরমিত সিং চৌহান জানান, তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে শিখ জঙ্গি সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস। সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পঞ্জাব পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: কুঁড়েঘরের মধ্যে কী পড়ে আছে ওটা! এগিয়ে গিয়ে যা দেখা গেল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
পঞ্জাবের এই সরহালি থানা পাক সীমান্ত লাগোয়া তরন তরন জেলায় অবস্থিত। কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে এই হামলার সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মমতার সামনেই তৃণমূলে যোগ, নয়া সভাপতি পীযূষ কান্তি! বড় সিদ্ধান্ত ঘাসফুল শিবিরের
রকেট হামলায় থানার শুধুমাত্র কাচের একটি দরজা ভেঙে গিয়েছে। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পঞ্জাব পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। এই হামলায় থানার কাছে থাকা একটি সার্ভিস সেন্টারও সামান্য় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ৯ মে মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতরেও একই ভাবে রকেট লঞ্চার দিয়ে গ্রেনেড হামলা করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ওই হামলার ঘটনায় অন্য়তম অভিযুক্ত চরৎ সিংকে গ্রেফতার করেছিল পঞ্জাব পুলিশ। সে কানাডা প্রবাসী জঙ্গি লখবির সিং লান্ডার অন্য়তম সহযোগী বলে দাবি করেছিলেন পঞ্জাব পুলিশের ডিজি।
এই সপ্তাহের শুরুতেই দিল্লি পুলিশ মোহালি হামলার মূল মাথা লখবির সিং লান্ডাকে গ্রেফতার করে। লখবির সিং লান্ডা এবং চরৎ সিং, এই দু' জনেই পঞ্জাবের তর তরন জেলার বাসিন্দা। ২০১৭ সালে কানাডায় চলে গিয়েছিল লখবির সিং।