১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষের দিন পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’ পালিত হোক। এই প্রস্তাব রাজ্যের শাসক দলের তরফে আনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বার্তাও দেন। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ১ বৈশাখকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। পরবর্তীতে এই দিনকে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে ঘোষণাও করে। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা অত্যাচারিত হচ্ছেন, তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে! তাই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সংসদেও বাংলায় কথা বলা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। সেই আবহে এবার পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’ প্রসঙ্গে জোরালো সওয়াল করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।পয়লা বৈশাখ, অর্থাৎ বাঙালির নববর্ষ। এই দিনেই বাঙালির অস্মিতাকে জাগাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও পরম্পরাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জাগাতে চায় তৃণমূল।
advertisement
গত কয়েকদিন ধরেই গো-বলয়ের রাজনীতি আমদানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল। রাম নবমী পালন নিয়ে উন্মাদনা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। দেড় কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামানোর কথা বলছে বিজেপি। সেই সময়েই বিজেপির মোকাবিলায় বাংলা নববর্ষকে হাতিয়ার তৃণমূলের। কার্যত সংসদে দাঁড়িয়ে তাই পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে পয়লা বৈশাখকেই প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে সংসদে তুলে ধরতে চেয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।
