আরও পড়ুন- থামানো যাচ্ছে না শাহরুখকে! ৫৬ বছর বয়সে শার্টবিহীন শরীরী আবেদনে কাত নেটিজেনরা
বন আধিকারিকরা ৭৬ টি ব্লক চিহ্নিত করেছেন এবং ৬০ জন গণনাকারী ও পর্যবেক্ষককে এই শুমারির (rhino census) জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রমেশ গগৈ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গণনাকারী এবং পর্যবেক্ষকরা ইতিমধ্যেই নিজ নিজ ব্লকে চলে গিয়েছেন। গণ্ডারশুমারির (rhino census) জন্য, ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে এই জাতীয় উদ্যানটি।
advertisement
অন্যদিকে, অসমের পবিটোরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে পাঁচটি গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে সংরক্ষিত এই বনে প্রাণীর মোট সংখ্যা বেড়ে এখন ১০৭। এক বন আধিকারিকের কথায়, ৩৮.৮১ বর্গ কিমি বনাঞ্চলে ৫০ টি স্ত্রী, ৩০ টি পুরুষ এবং ২৭ টি গণ্ডার শাবক রয়েছে। একশৃঙ্গ গণ্ডারের সর্বোচ্চ ঘনত্ব এখানেই দেখা যায়।
সোমবার থেকে দুই দিনের গণনা (rhino census) শুরু হয়েছিল এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটিকে নয়টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছিল। যার জন্য ১১ জন গণনাকারী এবং নয়জন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছিল। বন কর্মকর্তা ছাড়াও, আরণ্যক, ডব্লিউডব্লিউএফ, এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশন এবং স্থানীয় এনজিও-র মতো গণ্ডার সংরক্ষণ সংস্থার সদস্যরাও এই শুমারিতে অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- কংগ্রেস আমলে সন্ত্রাসে জেরবার কাশ্মীরকে জানতে দেখা উচিত কাশ্মীর ফাইলস: অমিত শাহ
২০১৮ সালের গণ্ডারশুমারির (rhino census) সময় মোট ১০২ টি গণ্ডারের সন্ধান মেলে এবং ২০১৪ সাল থেকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে শিকারের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তা। ওরাং ন্যাশনাল পার্কেও গণ্ডারের সংখ্যা ২৪ থেকে বেড়ে ১২৫ হয়েছে। কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের গণ্ডার শুমারি (rhino census)।
বিপন্ন প্রজাতির গণ্ডরগুলিকে ২০০৯ থেকে IUCN দুর্বল প্রজাতি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে এবং ২০১৮ সালের শুমারি অনুসারে, অসমে ২,৬৫২ টি গণ্ডার রয়েছে। কাজিরাঙ্গার গণ্ডার সংখ্যা সর্বাধিক, ২,৪১৩।