আগেই রিলায়েন্স জিও-র দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন বড় ছেলে আকাশের (Akash Ambani) হাতে। সোমবার রিলায়েন্সের ৪৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (Reliance Industries AGM 2022) কন্যা ইশা আম্বানির (Isha Ambani) হাতে রিলায়েন্স রিটেলের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (RIL)-এর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি। ওই বৈঠকে তিনি জানান, কন্যা ইশা এবং দুই পুত্র আকাশ আম্বানি ও অনন্ত আম্বানি ইতিমধ্যেই ব্যবসা পরিচালনায় দায়িত্ব পেয়েছেন।
advertisement
বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় তিনি আরও বলেন, ''আকাশ এবং ইশাকে যথাক্রমে জিও এবং রিটেল ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসলে শুরুর দিন থেকেই ওরা আমাদের উপভোক্তা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ছোট পুত্র অনন্তও প্রচণ্ড আগ্রহের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ব্যবসায়। এমনকি অধিকাংশ সময়েই সে জামনগরে সময় কাটাচ্ছে।” এর পর তিনি আরও যোগ করেন যে, ''ওদের তিন জনের চিন্তাধারা একদম সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মতোই।''
এই ঘোষণার পরে বৈঠকে হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) মাধ্যমে অনলাইনে গ্রসারি অর্ডার দেওয়া এবং পেমেন্ট করা সংক্রান্ত বিষয়ে একটা প্রেজেন্টেশনও পেশ করেছেন ইশা। এর পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়ে এও জানিয়েছেন যে, রিলায়েন্স রিটেল খুব শীঘ্রই একটি এফএমসিজি (FMCG) ব্যবসা লঞ্চ করবে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যমজ সন্তান ইশা ও আকাশ এবং কনিষ্ঠ সন্তান অনন্তের উপর ব্যবসার দায়িত্ব তুলে দিয়ে কি অবসর নেবেন মুকেশ আম্বানি? ওই বৈঠকেই তিনি বিষয়টা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জোর দিয়ে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন যে, এই মুহূর্তে ব্যবসা থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। বরং আগের মতোই রোজকার দায়িত্ব সামলাবেন তিনিও।
আরও পড়ুন: রিলায়েন্সের ৪৫ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় কী কী ঘোষণা করলেন মুকেশ আম্বানি? দেখে নিন
এখানেই শেষ নয়, গত কালের বৈঠকে তিন সন্তানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন মুকেশ আম্বানি। তাঁরা যাতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য সংস্থার শেয়ারধারকদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চেয়ে নিলেন তিনি। ছেলে-মেয়ের প্রসঙ্গে গর্বিত বাবা জানান, সংস্থার তরুণ লিডার এবং পেশাদারদের দলটির অংশ তাঁরাও। ইতিমধ্যেই রিলায়েন্সে বেশ কিছু দারুণ কাজও করে ফেলেছে। তবে সংস্থার চেয়ারম্যান ও বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের মতো সিনিয়র লিডারদের তত্ত্বাবধানেই রয়েছেন আকাশ, ইশা এবং অনন্ত।
আম্বানি আরও বলেন, আসলে আমাদের এই তরুণ প্রজন্মের নেতারা দৃঢ়চেতা এবং নিজেদের লক্ষ্যে স্থিরও বটে। তাঁদের মাথায় থাকে নানা নতুন নতুন আইডিয়া এবং সৃজনশীল ভাবনা-চিন্তাও। শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী প্রজন্মের এই নেতারাই খুব তাড়াতাড়িই বড় বড় চিন্তা-ভাবনা করে ফেলতে পারেন। আসলে তাঁদের স্বপ্ন দেখার সাহস রয়েছে এবং তার সঙ্গে সেটা বাস্তবে ফলানোর ক্ষমতাও রাখেন তাঁরা।