পুরীর এই বার্ষিক রথযাত্রা উৎসবে লক্ষ লক্ষ ভক্ত জড়ো হন, যাঁরা জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার মহিমান্বিত শোভাযাত্রা দর্শন করতে আসেন, যা জগন্নাথ মন্দির থেকে গুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত হয়।
‘সেবা’র ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন তাদের ‘উই কেয়ার’ দর্শনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই ১৩ দিনব্যাপী পবিত্র যাত্রায় গঠনমূলক অবদান রাখতে গর্ববোধ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: বৈষ্ণো দেবীতে ভয়াবহ ভূমিধস, পাথরে ঢেকে গেল রাস্তা! বন্ধ গাড়ি, হেলিকপ্টার পরিষেবা…
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শ্রী অনন্ত আম্বানি বলেন, “সেবা আমাদের ‘উই কেয়ার’ দর্শনের অন্তর্নিহিত অংশ। পুরীতে ভক্তদের সেবা করার সুযোগ পাওয়া এক আশীর্বাদ। আমরা বিশ্বাস করি, রথযাত্রার সময় তীর্থযাত্রী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সেবা মানেই ঈশ্বরের সেবা। আমরা খাদ্য থেকে শুরু করে নিরাপত্তা পর্যন্ত নানা উদ্যোগের মাধ্যমে তীর্থযাত্রার অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ, নিরাপদ ও আরামদায়ক করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
রিলায়েন্স সেবার মূল দিকগুলো: 🔸 অন্ন সেবা: রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন রথযাত্রার পথে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও পুলিশ কর্মীদের জন্য গরম, স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করছে, যাতে কেউ অনাহারে না থাকেন।
আরও পড়ুন: পাথর দিয়ে স্বামীর মাথায় ভয়ঙ্কর আঘাত স্ত্রী-এর! পুকুরে ফেলে ডুবে যাওয়ার নাটক, তারপর…
🔸 পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর: খাবারের স্টলে কনট্যাক্টলেস স্যানিটাইজার, পরিচ্ছন্নতার জন্য পৌরসভার সহযোগিতায় আবর্জনার ব্যাগ এবং পুলিশের জন্য শৌচাগারের সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
🔸 ভিড় নিয়ন্ত্রণ: পৌরসভা ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে ভক্তদের সহায়তার জন্য স্পষ্ট দিকনির্দেশক বোর্ড ও চিহ্ন বসানো হয়েছে, যাতে ভক্তরা সহজে পথনির্দেশ পান।
🔸 স্বেচ্ছাসেবক সহায়তা: ৪,০০০-রও বেশি প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক ইউনিফর্ম পরে জল বিতরণ কেন্দ্র এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত থাকবেন, যাতে ভক্তরা গ্রীষ্মের গরমে জল পেয়ে হাইড্রেটেড থাকতে পারেন।
🔸 গ্রীষ্মের আরাম: রোদ থেকে আরাম পেতে ১.৫ লক্ষেরও বেশি পরিবেশবান্ধব হাত পাখা বিতরণ করা হয়েছে।
🔸 পুলিশ সহায়তা: ১০০টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ডিউটিরত পুলিশ কর্মীদের জন্য আশ্রয় থাকবে এবং ভক্তরাও সহায়তা পাবেন।
🔸 বৃষ্টির প্রস্তুতি: বর্ষাকাল মাথায় রেখে ৩,৫০০ রেইনকোট বিতরণ করা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। স্বেচ্ছাসেবক, পৌর কর্মী ও পুলিশ সদস্যদের জন্য রিফ্রেশমেন্ট কিটও প্রদান করা হচ্ছে।
এর আগেও, মহা কুম্ভ ২০২৫-এ প্রয়াগরাজে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর জন্য রিলায়েন্স বিভিন্ন পরিষেবার মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছিল — খাবার, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে পরিবহন পর্যন্ত। রিলায়েন্স এই ধরনের ধর্মীয় উপলক্ষে সমাজের পাশে থাকার অঙ্গীকারে বিশ্বাসী। এবারের রথযাত্রাতেও সেই মানবসেবার ও ঈশ্বরসেবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।
🔶 রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন সম্পর্কে: রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর সমাজসেবামূলক শাখা, ভারতের উন্নয়নমূলক সমস্যার টেকসই ও উদ্ভাবনী সমাধান দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন শ্রীমতী নীতা এম আম্বানির নেতৃত্বে এই সংস্থা গ্রামীণ রূপান্তর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলার মাধ্যমে উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারী ক্ষমতায়ন, শহর উন্নয়ন, শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে নিরলস কাজ করে চলেছে। ৯১,৫০০-রও বেশি গ্রাম ও শহর এলাকায় ৮.৬ কোটির বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।