দিল্লি-এনসিআর-এ বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ উপকারী সাব্যস্ত হবে সন্দেহ নেই। দিল্লিতে দূষণ এমন একটি সমস্যা যার কোনও তাৎক্ষণিক সমাধান নেই। এর জন্য দিল্লি সরকারকে নিজের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যগুলির উপরও নির্ভর করতে হবে। বিশেষ করে শীতকালে দিল্লির দূষণ আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন– ২৮-এই বিধবা হন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী, লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন, আজও শ্বশুর-শাশুড়ির আদরের মেয়ে
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে খড় পোড়ানো। এছাড়াও, দিল্লি-এনসিআর-এ বিপুল সংখ্যক যান চলাচল, নির্মাণ কাজ এবং ক্রমাগত রাস্তা নির্মাণও বাতাসকে বিষাক্ত করে তোলে। এই বিষাক্ত বাতাস দিল্লিবাসীর স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। এই দূষণের কারণে দিল্লি-এনসিআরের একটি বিশাল জনসংখ্যা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত এই সমস্যা নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার কারণে দূষণ তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা হলেও কমানো যেতে পারে। নিউজ18 ইন্ডিয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রেখা গুপ্ত এই কথা বলেন।
দূষণ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে রেখা গুপ্ত সাফ বলেন, ‘‘পূর্ববর্তী সরকার দূষণ সম্পর্কে কেবল বিবৃতি দিত। আমরা দিল্লিকে দিল্লি করতে চাই, লন্ডন নয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের প্রতিটি স্তরে কাজ করতে হবে। আমরা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গেও কথা বলব। কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক সংস্থা দিল্লিতেও কাজ করে, আমরা তাদের সঙ্গেও মিলেমিশে কাজ করব। আমরা এমসিডি এবং এনডিএমসির সঙ্গে একজোটে এর সমাধান খুঁজে বের করব।’’
এর পরেই তিনি তিনি দিল্লি সরকারের তরফে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। ‘‘আমরা একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে দূষণ কমাতে শীতকালে জল ছিটানোর মেশিনগুলি কেবল দুই মাস চালানো হত। এখন আমরা বৃষ্টির দুই মাস বাদে পুরো ১০ মাস এই মেশিনগুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছি। গ্রীষ্মেও প্রচুর পরিমাণে ধুলো ওড়ে, আসলে, তীব্র বাতাসের কারণে সেই সময় ধুলো বেশি ছড়িয়ে পড়ে। তাই, এখন সারা বছর ধরে জল ছিটানো হবে’’, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার পঞ্জাবে ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা খড় পোড়ানোর জন্য তাদের দোষ দিত। কিন্তু সেখানে আম আদমি পার্টির সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে তারা দাবি করেছিল যে খড় পোড়ানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা যদি সত্যিই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, তাহলে আমাদের ধুলো, খালি জমি, যানবাহনের ধোঁয়া, খড়, বাস ও ট্রাকের মতো যানবাহন এবং ব্যক্তিগত যানবাহন থেকে আসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর জন্য সারা বছর ধরে কাজ করতে হবে। এটি একটি বহুমাত্রিক কাজ ৷’’