ইতিমধ্যেই প্রায় ২৮.৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক ই-শ্রম পোর্টালে নিজেদের নামও নথিভুক্ত করেছেন। যদিও, সেখানে ৮ কোটি শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত হয়নি রেশন কার্ডে। এদিকে, এই রিপোর্ট সামনে আশার পরই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তিন মাসের মধ্যেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড দিয়ে দিতে হবে।
advertisement
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে এই বিষয়টি রয়েছে বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি আশানুদ্দিন আমানুল্লাহর কাছে। এমতাবস্থায়, তাঁরা নির্দেশ দিয়েছেন রেশন কার্ড ছাড়াই ওই শ্রমিকরা যাতে রাজ্য সরকার এবং জাতীয় সুরক্ষা মিশনের সুবিধা পান সেদিকেও নজর দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে জানা জরুরি, একটি PIL ফাইল করে জানানো হয় যে, করোনার মত ভয়াবহ মহামারীর সময়ে ভিনরাজ্যে কর্মরত বহু সংখ্যক শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কী না থাকলে বিয়ে হয় না...? ৯৯% মানুষই দিয়েছেন ভুল উত্তর! আপনি জানেন?
এদিকে, ভিনরাজ্য থেকে তাঁরা এসে কাজ এবং খাবারের বিষয়ে বড় সমস্যায় পড়েন। সেই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দেয় যে, ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে তাঁদের খাদ্য সুরক্ষা পান সেই দিকটা অন্তত খতিয়ে দেখতে হবে। এদিকে, এর আগে আদালত জানিয়েছিল যে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সঙ্গে দেশের ই-শ্রম পোর্টালের সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে।
পাশাপাশি, সেই সময়ে কেন্দ্রের তরফে রিপোর্টের মাধ্যমে বলা হয় যে, প্রায় ৭৮ কোটি উপভোক্তাকে NFS-এর আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে আবার ৮ কোটি শ্রমিকের রেশন কার্ড নেই। এই প্রসঙ্গে শুনানি চলার সময় আদালত নির্দেশ দেয় যে, এখনও যাঁরা রেশন কার্ড পাননি তাঁদের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দায়িত্ব। আদালত ৩ মাসের মধ্যে ওই নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিকদের রেশন কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।