“দরবার হলে” সাধারণত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান যথাক্রমে জাতীয় পুরস্কার প্রদান-সহ নানাবিধ অনুষ্ঠান পালিত হয়।
রাষ্ট্রপতির সচিবালয় থেকে বৃহস্পতিবার যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় তাতে বলা হয়, “দরবার” কথাটির অর্থ বোঝাত মূলত ভারতীয় রাজাদের সময়ে ব্রিটিশ আমলে বিভিন্ন কোর্ট এবং মানুষদের একত্রিত হয়ে অভাব অভিযোগ জ্ঞাপনের জায়গা। যদিও ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এবং গণতন্ত্র স্থাপনের পর তা গুরুত্ব হারায়।
advertisement
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ইঞ্জিনের সঙ্গে কামরা জুড়তে গিয়ে পিষে গেলেন রেলকর্মী
অন্যদিকে গণতন্ত্র শব্দটি ভারতবর্ষের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গণতন্ত্র ভারতের সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গেও গণতন্ত্র ভীষণভাবেই জড়িত। সেই জন্যই গণতন্ত্র মণ্ডপ হিসাবেই নামটি নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানানো হয়ে সচিবালয়ের তরফ থেকে।
সচিবালয়ের তরফ থেকে আরও জানানো হয়, “অশোক হল আদতে একটি বলরুম ছিল। “অশোক” শব্দের অর্থ “যিনি সমস্ত শোক থেকে মুক্ত।” আবার অশোক হিসাবে সম্রাট অশোককেও বলা হয়ে থাকে। যেহেতু ভারতবর্ষের জাতীয় প্রতীক সারনাথের অশোকের সিংহ। এছাড়াও ভারতবর্ষের কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিতে অশোকের নাম জড়িয়ে আছে। আবার অশোক গাছের তাৎপর্যও ভারতের মানুষদের কাছে অপরিসীম।
দুটি হলের নাম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের যে ভেদাভেদের একটি দীর্ঘ ইতিহাস সেই ব্রিটিশ আমল কিংবা তার আগে থেকে শুরু হয়েছে তা “অশোক” এবং “গণতন্ত্র” নামের মধ্য দিয়ে মিটবে বলে মনে করছে রাষ্ট্রপতি ভবন।
অন্যদিকে এই নাম পরিবর্তন নিয়ে এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা। তিনি বলেন, “এটা দরবার কনসেপ্ট নয় এটা শাহেনশাদের কনসেপ্ট, ইন্টারেস্টিং।”