সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফরেস্ট অফিসার প্রভাকর কুলাল (Prabhakar Kulal) জানিয়েছেন, রেলওয়ে ব্রিজের মাঝামাঝি কোনও এক জায়গায় পড়েছিল ব্ল্যাক প্যান্থারটি। ব্রিজ পেরিয়ে খাবারের সন্ধানে যাচ্ছিল সে। এমন সময়ে ট্রেন এসে যায়। কিন্তু জায়গা ছোট থাকায় তেমন কোনও সুবিধা করতে পারেনি ওই প্রাণী। আর এই ফাঁকে ট্রেন তাকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায়। মেঙ্গালুরু-মুম্বই ট্র্যাকে রেলওয়ে ব্রিজের উপরে প্রথমবার পথচারীররাই দেখতে পান ওই প্যান্থারকে। পরে তাঁরা বনদফতরকে খবর দেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের ব্ল্যাক প্যান্থার ওই কুণ্ডাপুর এলাকায় খুব একটা দেখা যায় না। এমনিতেও এরা বিরল প্রাণী। এর আগেও পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে দু'টি প্যান্থারকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু এবার এই প্যান্থারকে আর বাঁচানো গেল না! ইতিমধ্যেই কর্নাটকের কাবিনির (Kabini) সেই ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে। IFS অফিসার পরভিন কাসওয়ানও (Parveen Kaswan) ওই প্যান্থারের মৃত্যুর ছবি শেয়ার করেন।
advertisement
এ বিষয়ে কুণ্ডাপুরের ডেপুটি কনজারভেটর অফ ফরেস্ট আশিস রেড্ডি (Ashish Reddy) জানিয়েছেন, আপাতত বিষয়টির তদন্ত চলছে। বর্তমানে বাইন্ডুর রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসারের কাছ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। আসলে ট্রেনটি দ্রুত গতির ছিল। তাই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনের ধাক্কায় ওই ব্ল্যাক প্যান্থার দারুণ ভাবে জখম হয়েছিল। পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এর পর ওই প্যান্থারের ময়নাতদন্ত করা হয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে গিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মৃত প্যান্থারটিকে। তবে ফিল্ড রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমঘাট এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যে রেলওয়ে ট্র্যাক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে। তবে এর বিরুদ্ধে একাধিক এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিবেশবিদদের একাংশ পথে নেমেছেন। তাঁদের দাবি, বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে পশ্চিমঘাটের বনাঞ্চল, জীববৈচিত্র্য বিঘ্নিত হবে। কারণ রেলওয়ে ট্র্যাক বাড়াতে গেলে বিঘার পর বিঘা সমস্ত গাছপালা ধ্বংস হয়ে যাবে। ট্রেনের ধাক্কায় মরতে পারে পশুরাও। সেই কথাটাই প্রমাণ করে দিল এই ব্ল্যাক প্যান্থারের মৃত্যু!