পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঠাকুমা এবং কাকার সঙ্গে রাজস্থানের রণথম্ভোরে বেড়াতে এসেছিল শিশুটি৷ জাতীয় ব্যাঘ্র উদ্যানের ভিতরেই ত্রিনেত্র গণেশ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল তারা৷ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর ফিরছিল অন্যান্য পুণ্যার্থীদের সঙ্গে৷ ছোট্ট কার্তিকের হাত ধরে ছিলেন তার ঠাকুমা৷ এক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সে সময় আচমকাই শুঁড়িপথের পাশের ঝোপ থেকে ঝাঁপ দেয় পূর্ণবয়স্ক একটি বাঘ৷ শিশুটির ঘাড় কামড়ে নিয়ে চলে যায় ঘন ঝোপের মধ্যে৷
advertisement
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা৷ তাঁরা জানিয়েছেন কার্তিকের নিথর দেহ সামনে রেখে অনেক ক্ষণ বসে ছিল বাঘটি৷ গভীর বনে চলে যায়নি প্রথমেই৷ পরে পটকা ফাটিয়ে তাকে তাড়ানোর পরই শিশুর দেহ উদ্ধার করা যায়৷ ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে৷ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী তারা আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবে৷
বাঘের হামলার আগেই ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছিল ছোট্ট কার্তিক৷ একটায় সে দাঁড়িয়েছিল বড় পাথরের সামনে৷ অন্যটায় লাজুক মুখে বসে আছে বাঁদরের পাশে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়ে গিয়েছে ছবি দু’টি তার ছোট্ট জীবনের শেষ কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে৷
প্রসঙ্গত ৩০০ বর্গ কিমির বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রণথম্ভোর ন্যাশনাল টাইগার রিজার্ভে বাঘ আছে ৭০ টির বেশি৷ সেগুলির মধ্যে কোনটি আক্রমণ করেছে, এখনও চিহ্নিত করা যায়নি৷ সম্প্রতি ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির লাগোয়া এলাকায় তিনটি বাঘিনীকে দেখা গিয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে একটিই আক্রমণ করে থাকতে পারে৷