আজ অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রাজস্থানের (Rajasthan) রাজসামান্দ জেলার কারাতাবাস গ্রামের যুবক শম্ভু গুর্জরের। তাঁর বোনেদের এর ঠিক ৪ দিন পর অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর বিয়ের কথা ছিল। সেই মতোই ডিসেম্বর পড়তে গুর্জর বাড়িতে শুরু হয়েছিল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সাজগোজের প্ল্যানিং, অতিথি আপ্যায়ণের প্ল্যানিং ইত্যাদি চলছিল জোর কদমে। এরই মধ্যে বিয়েরই নিয়ম অনুযায়ী কিছু ধর্মীয় আচারের পর রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিন্দোল বা একটি শোভাযাত্রা বের হয় গুর্জর বাড়ি থেকে। সেখানে অনেকেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই শোভাযাত্রা বাড়ির আশপাশের এলাকা ঘুরেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বন্ধুদের নিয়ে একদম সেজেগুজে আনন্দ করছিলেন বাড়ির বড় ছেলে অর্থাৎ শম্ভু বাবুর দাদা নারায়ণ লাল গুর্জর। DJ-র তালে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার মতো দূরে নাচতে নাচতেই সবার অলক্ষ্যে পড়ে যান তিনি। ব্যস, সব শেষ।
advertisement
তাঁকে পড়ে যেতে দেখে তড়িঘড়ি আত্মীয়রা স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছায় এবং চিকিৎসকরা দেখে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে, কী কারণে নারায়ণ লালের মৃত্যু হল তা জানাননি চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে পরিবারের তরফেও কিছু জানানো হয়নি।
নারায়ণ লালের এভাবে আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তাঁর স্ত্রী ও মা। বাড়িতে ৪ বছর ও ৭ মাসের তাঁর দুই সন্তান অবশ্য সেভাবে কিছু বুঝতে পারেনি। শোকাহত পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও। তাঁর এই মৃত্যুতে পরিবারের এই পরিস্থিতি দেখে হতবাক সকলে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, নারায়ণ লাল, গুজরাতের উজা এলাকায় একটি কারখানায় গত ১০ বছর ধরে কাজ করতেন। তিনি পরিবারের আর্থিক দিকটিও দেখতেন। ফলে তাঁর মৃত্যুতে কী ভাবে এতজনের পেট চলবে তা নিয়েও চিন্তায় সকলে।
এদিকে, শোভাযাত্রা চলাকালীন সেই শোভাযাত্রার ভিডিও কেউ করছিলেন, সেখানেই এই নারায়ণ লালের পড়ে যাওয়া এবং মৃত্যু দেখা যায় স্পষ্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা বর্তমানে ভাইরাল। অনেকেই এটি দেখার পর তাঁদের শোকবার্তা নারায়ণ লালের পরিবারের প্রতি পাঠিয়েছেন।