অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে চিনার সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর গতকালই প্রকাশ্য়ে আসে। ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে চিনা বাহিনীর সংঘর্ষও হয়। এই খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই আজ সংসদ অধিবেশনের শুরু থেকে সরকারের বিবৃতি দাবি করে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা দাবি করে রাজ্য়সভায় মুলতবি প্রস্তাব আনেন বিরোধী দলনেতা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। অন্য়দিকে, আলোচনা চেয়ে নোটিস জমা দেয় তৃণমূলও।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে মহিলাদের ১০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, মেঘালয়ে ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল
ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এ দিন প্রথমে লোকসভা এবং পরে রাজ্য়সভায় জানান, গত ৯ ডিসেম্বর তাওয়াং সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। তিনি জানান, 'গত ৯ ডিসেম্বর চিনা বাহিনী একতরফা ভাবে তাওয়াং সেক্টরের ইয়াংগটসে-তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এই প্রচেষ্টা দেখেই বাধা দেয় আমাদের বাহিনী।'
আরও পড়ুন: ৩০০ সেনা নিয়ে অরুণাচলে হামলা চিনের, কীভাবে রুখল ভারতীয় ফৌজ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও জানান, এর পরেই দু' পক্ষের মধ্য়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ভারতীয় বাহিনীর প্রতিরোধে বাধ্য় হয়ে নিজেদের পোস্টে ফিরে যায় চিনা সেনা। এই ঘটনায় দু' পক্ষেরই কয়েকজন করে আহত হয়েছেন। তবে ভারতীয় সেনার কোনও জওয়ানেরই আঘাত গুরুতর নয় এবং কারও প্রাণহানি ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এই ঘটনার পরইগত ১১ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনার লোকাল কম্য়ান্ডার চিনা বাহিনীর সঙ্গে ফ্ল্য়াগ মিটিং করে ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে এই ধরনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য় চিনা বাহিনীকে বলা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।
যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই বিবৃতিতে সন্তুষ্ট না হয়ে লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিরোধী নেতারা। লোকসভার পরে রাজ্য়সভাতেও তাওয়াংয়ের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেন রাজনাথ সিং। সেখানেও তিনি দাবি করেন, ভারতীয় বাহিনীর সময়োচিত তৎপরতার কারণেই চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশের চেষ্টা আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।