রাজীব নিজে অবশ্য জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর কথায়. ত্রিপুরায় তাঁর আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। একটা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছি। ব্যক্তিগত কাজ রয়েছে আমার।
এর আগেও ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়(Rajib Banerjee)। সেবার ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন তিনি। তখনই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয় রাজীবের পদক্ষেপ নিয়ে। পর্যবেক্ষকরা বলছিলেন তৃণমূল চাইছে ত্রিপুরায় সম্প্রসারণ আর সেই ২০১৬ সাল থেকেই ত্রিপুরাকে খুব ভালোমতো চেনেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া দলছাড়লেও বহু দলবদলুর থেকে রাজীবের ইমেজ ভালো। দল ছাড়ার সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে বেরিয়েছিলেন বিধানসভা থেকে, সে দৃশ্য রাজ্যবাসী ভোলেনি।
advertisement
আরও পড়ুন-আর স্টাফ স্পেশ্যাল নয়, লোকাল ট্রেন নিয়ে বড় ঘোষণা করল নবান্ন
জল্পনাটা আরও দানা বাঁধছিল তার কারণ এই কালখন্ডে বারংবার তৃণমূল নেতাদের কাছাকাছি আসতে দেখা যাচ্ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনো তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়েছেন, কখনো আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপনে যেতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই পর্বের রাজীব তৃণমূল বিরোধিতা তো করেইনি বরং বারংবার বিজেপির বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন। তৃণমূল নেত্রীকে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে বিজেপি ভুল করছে এমন বার্তা টুইটারে লিখেছেন রাজীব এই সময়েই।
আরও পড়ুন-গোয়ায় বিরাট চমক তৃণমূলের, মমতার হাত ধরে তৃণমূলে লিয়েন্ডার পেজ!
কিন্তু এই কাহানিতে ট্যুইস্ট তখনও বাকি ছিল। অক্টোবর মাসের শুরুতে হঠাৎই বিজেপির কর্মসমিতির আমন্ত্রিত সদস্যদের মধ্যে রাজীবের নাম দেখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই আবার নতুন অনুমানের খেলা শুরু হয়, অনেকে বলছিলেন রাজীব হয়তো বিজেপিতেই মন দেবেন তাহলে। রাজীব এবার অবশ্য দুর্ভেদ্য পরীক্ষা রচনা করেছিলেন তার চারধারে। মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি।
এদিন রাজীব অবশ্য প্রশ্নের উত্তরে জানান তিনি এখনও বিজেপিতেই আছেন। যদিও বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানেই তাঁকে দেখা যায় না, এ কথা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আপাতত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা অভিষেক ত্রিপুরা যেতেই দুইয়ে দুইয়ে চার হয় কিনা-তা দেখার।