সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বমুরী কলান নামে একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা যোগেশ নাগর। যিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের পড়ুয়া। বরাবরই উদ্ভাবনী কাজ করার নেশা তাঁর। নিজের সেই শখ বা স্বপ্ন পূরণ করতেই নানা নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন তিনি। সেই কাজেই সফল হতে চলেছেন যোগেশ। যা মানুষের জীবনে রীতিমতো বিপ্লব ঘটাতে চলেছে। পরিবর্তন আসতে পারে মানুষের জীবনযাত্রায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে ওটা কী নড়েছে? দেখেই চোখ কপালে উঠল বাড়ির মালিকের
আসলে ওই তরুণ একটি রোবট তৈরি করেছেন। যা ঘরের কাজ থেকে শুরু করে কৃষিকাজ – সব কিছুই করতে পারবে। এটি বানানোর জন্য ইতিমধ্যেই ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ এসেছে। আসলে রোবটটি স্যাটেলাইট সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আর এই পন্থাতেই কাজ করবে তা। কী কী কাজ করতে পারবে রোবট, সেই প্রশ্নের উত্তরে ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া জানান যে, উন্নত প্রযুক্তির রোবটটি ঘরের কাজ তো করবেই।
আরও পড়ুন: গুড় দিয়ে তৈরি; ১০০ বছরের পুরনো সেতুর আকর্ষণ অটুট! অনন্য নির্মাণশৈলীতে হতবাক আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারও!
পাশাপাশি বাচ্চাদের পড়াশোনাও করাবে। এমনকী কৃষিকাজেও সহায়ক হয়ে উঠবে ওই যন্ত্রমানব। এখানেই শেষ নয়, ধরা যাক কোনও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে দেখভালের লোক নেই। সেই কাজও অনায়াসে করতে পারবে এই রোবট। এছাড়া স্কুলে পড়ানো বা শিশুদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কাজও করতে সক্ষম হবে ওই রোবটটি। বলা ভাল যে, ওই যন্ত্রমানবকে যে নির্দেশ দেওয়া হবে, সেই নির্দেশ মেনেই কাজ করবে সে।
আসলে বাইরের কাজ সামলাতে গিয়ে ঘরের নানা কাজ করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই কাজগুলিও করে দেবে এই রোবট। ফলে সুবিধা হবে মানুষের। যাতে সমস্ত কাজই নিখুঁত ভাবে সামলাতে পারে, সেই রকম ভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে ওই যন্ত্রমানবকে। যোগেশ জানাচ্ছেন, এখনও রোবটটি পুরোপুরি তৈরি হয়নি। এটির কাজ সম্পূর্ণ হওয়া এখনও বাকি। কাজ চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই রোবটটি তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন যোগেশ।