সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘ড্রিম ১১’-এ প্রায় ২ কোটি টাকা জিতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন খেম সিং। তাঁর দাবি, তিনি ক্রিকেট খেলা নিয়ে তেমন কিছুই জানতেন না। অন্যদের দেখেই মূলত এই ড্রিম ১১-এ অংশ নিয়েছিলেন তিনি। খেম সিং আরও বলেন যে, “আমি দ্বিতীয় বারের প্রচেষ্টায় চেন্নাই বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচের সময় ৪৯ টাকা লাগিয়ে ২ কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছিলাম।” এই জয়ের পর স্বভাবতই খেম সিং এবং তাঁর পরিবার খুবই খুশি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরাও বিজয়ী ওই যুবককে ফুলের মালা ও পাগড়ি পরিয়ে স্বাগত জানান।
advertisement
আরও পড়ুন: কিছুটা স্বস্তি! দেশে খানিকটা কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
রাতারাতি তো কোটিপতি হয়েছেন খেম সিং! ফলে তাঁর ভাগ্যও ঘুরে গিয়েছে! কারণ ওই যুবকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভাল ছিল না। আসলে তিনি হরিয়ানার গুরুগ্রামে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখানেই খেম সিং দেখতেন যে, তাঁর সঙ্গীরা ড্রিম ১১-এ অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের দেখেই সেই খেলা ওই যুবকও শুরু করেছিলেন।
খেম সিংয়ের কথায়, “প্রথম বার যখন পরাজিত হই, মনটা তখন হতাশ হয়ে পড়ে। চার-পাঁচ দিন পর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় চেন্নাই এবং হায়দরাবাদের ম্যাচের সময় আমি ৪৯ টাকা বাজি ধরে ২ কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছিলাম। এই জয়ের পর আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা খুবই খুশি। আর এই বিজয়ের পরে আমি ভরতপুরে পৌঁছতেই আমাকে মালা ও পাগড়ি পরিয়ে স্বাগত জানান ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দারা।”
কিন্তু এই বড় পরিমাণ টাকা দিয়ে কী করবেন ওই যুবক? এই প্রশ্নের উত্তরে খেম সিং সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান যে, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখনও পর্যন্ত ৬৯ লক্ষ টাকা এসেছে এবং বাকি টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে এত টাকা দিয়ে কী করা হবে, তা এখনও ঠিক করেননি ওই যুবক। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই এই টাকা কোনও ভাল কাজে লাগানো হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।