স্ত্রী সোনম রঘুবংশীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন। রাজা হানিমুন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন এবং এটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করেন। এই লক্ষ্যে নববিবাহিত স্ত্রী সোনমকে নিয়ে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সোনমের মাথায় অন্য কিছু চলছিল। যদিও হানিমুনে যাওয়ার পরই স্বামীকে খুনের দায়ে জেলে থাকা সোনম রঘুবংশী সম্পর্কে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সোনমের কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা বলে, চরম রাগের কুখ্যাত সোনম। তাঁর রাগকে ভয় পাই সবাই। এমনকি সে নিজেও ভয় পেত।
advertisement
রাজা রঘুবংশীকে খুনের ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে রাজের। বান্ধবী সোনম রঘুবংশী সম্পর্কে তিনি বিস্ফোরক বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রাজ জানায়, রাগের জন্য সোনম খুবই কুখ্যাত। সোনমের কড়াকড়ির কারণে কর্মীরা কম কথা বলতেন। তিনি নিজেও সোনমকে ভয় পান। রাজ আরও জানিয়েছে, সোনম তার প্রেমে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ আটা-ময়দায় মেশান শুধু ‘এক’ চিমটি! এতেই তুলোর মতো নরম হবে রুটি! পাকা রাঁধুনির মোক্ষম ট্রিক
রাজার ভাই বিপিনও জানিয়েছিলেন, সোনম খুব রাগী। গোবিন্দ সোনমের সঙ্গে ২ মিনিট কথা বলার পরে বুঝতে পারে বোন খুন করেছে। রাজা রঘুবংশীর বোন সৃষ্টি নিউজ ১৮ হিন্দিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, সোনম প্রায় সবসময়ই রেগে থাকত। ডিআইজি মারাক সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বলেন, যে পাঁচ অভিযুক্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আদালতে হাজিরা দেওয়া হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন সমস্ত আসামি হত্যাকাণ্ডে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে তদন্তের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, প্রধান অভিযুক্ত সোনমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা যায়নি।
ডিআইজি বলেন, “সোনমের ফোনটি এখনও পাওয়া যায়নি, ঘটনার দিন ইনদওর আরেক অভিযুক্তের কাছ থেকে তিনি যে পোশাক পরেছিলেন তা উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের সামনাসামনি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। আদালত থেকে পুলিশ রিমান্ড পাওয়ার পর সব অভিযুক্তকে সামনাসামনি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যাতে মাস্টারমাইন্ডের আসল পরিচয় পরিষ্কার হয়েছে।