আপাতত কয়েকটি বেসরকারি হোটেল দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করতে চায় স্থানীয় প্রশাসন। তার মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক কয়েকটি হোটেলকে। কথা ছিল গতকাল বুলডোজারের সহায়তায় ভাঙার কাজ শুরু হবে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে সে কাজ শুরু হয়নি। এর মধ্যে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি বিষয়। যার মধ্যে অন্যতম হল ক্ষতিপূরণ এবং সম্পত্তির মূল্যায়ন পদ্ধতি। জানিয়েও স্থানীয়দের খুব সমস্যা রয়েছে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামি সরকার ঘর ছাড়ার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বাড়ির মূল্যায়ন করার আগেই নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতে মোটেই চিঁড়ে ভিজছে না। গতকাল থেকেই ধরনা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকার মহিলারা। তাঁদের মূল দাবি, বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার আগে তাদের একই রকম জমি বা বাড়ি দিতে হবে। তা না হলে সামান্য পয়সা নিয়ে তাঁরা নিজেদের আস্তানা কোন মতেই ছাড়বেন না। বলাই বাহুল্য হোটেল এবং বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভেঙে ফেলতে হলে আশেপাশের বাসিন্দাদের সরে যেতে হবে। কিন্তু, নারাজ বাসিন্দারা। বিপজ্জনক হোটেলের দরজায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের অভিযোগেই আবাস যোজনার তদন্ত? মালদহে বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
আরও পড়ুন: 'টিআরপি চলে গিয়েছিল, একের পর এক ছবি ফ্লপ করেছিলেন,' মিঠুনকে বেনজির আক্রমণ কুণালের
ওদিকে, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং রাজ্য পুলিশ হোটেল থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়র, এস্টিমেটার, সিবিআরআই-এর আধিকারিক এবং বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের উদ্দেশ্য এলাকার মানুষকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভেঙে দেওয়া। কোনমতেই বলপূর্বক এই কাজ করতে চাইছেন না তাঁরা। এ দিকে নিজেদের সম্বল এবং আশ্রয়স্থল ছেড়ে যেতে চাইছেন না দীর্ঘদিন ধরে যোশীমঠে বসবাসকারী মানুষ। সভাপতি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে উত্তরাখণ্ডের নৈসর্গিক এই পর্যটনকেন্দ্রে। যা বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত।
এত কিছুর মধ্যে আগামী দু -একদিনের মধ্যে যোশীমঠে তুষারপাত এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা শুনিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাতে স্থানীয় বাসিন্দারা এতটুকু ভীত না হলেও ভয় পাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। যার কারণ তুষারপাত হলে বিপদজনক বাড়িগুলির ওজন বা বোঝা বেশ কিছুটা বেড়ে যাবে। এমনিতেই ফাটল বাড়ছে নিত্যদিন। তার উপর বাড়িগুলির ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।পরিস্থিতি বিবেচনা করে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে আজ বিপদজনক বাড়ি খালি করার জন্য নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং ঘর বাড়ির মূল্যায়ন করার আগেই নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাসিন্দাদের। তা সত্ত্বেও বাসিন্দারা সরে যেতে নারাজ। এখন চেষ্টা চলছে অচল অবস্থা কাটিয়ে, স্থানীয়দের সরিয়ে বিপজ্জনক বাড়িগুলি কোনওমতে খালি করার।
রাজীব চক্রবর্তী