১৩ সেপ্টেম্বর সাইরাং থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকে, যাত্রীদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাওয়া গিয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেন পূর্ণ যাত্রীর চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা অর্জন করেছে। ট্রেন নম্বর ২০৫০৭ ১৬২.৫% যাত্রী ধারণক্ষমতা অর্জন করেছে, যেখানে এর ফিরতি পরিষেবা, ট্রেন নম্বর ২০৫০৮ রাজধানী এক্সপ্রেস ১৫৮.৩% যাত্রী ধারণক্ষমতা অর্জন করেছে। গুয়াহাটিগামী পরিষেবাগুলিতেও জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। নতুন চালু হওয়া কলকাতা পরিষেবাগুলিতেও চমৎকার সাড়া পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
এই প্রবণতাগুলি স্পষ্টভাবে মিজোরামে এবং মিজোরাম থেকে সরাসরি এবং নির্ভরযোগ্য রেল সংযোগের জোরাল চাহিদা প্রতিফলিত করে। মালবাহী ফ্রন্টে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সাইরাং স্টেশনে মোট আটটি রেক খালাস করা হয়েছিল। প্রথম রেকটি ১৪ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির কাছে টেটেলিয়ার স্টার সিমেন্ট সাইডিং থেকে ২১টি ওয়াগন সিমেন্ট নিয়ে এসেছিল। এরপর তিনটি রেক পাথরের টুকরো, একটি রেক অটোমোবাইল, একটি রেক আরএমসি এবং একটি রেক বালি ভৈরবী থেকে আনা হয়েছিল। সাইরাং থেকে প্রথম পার্সেল চালানটিও ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে বুক করা হয়েছিল। নাগাল্যান্ডের মলভোম স্টেশনও ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে মালবাহী কার্যক্রমে প্রবেশ করেছে। তেলেঙ্গানা থেকে ৪১টি ওয়াগন সিমেন্ট নিয়ে গঠিত প্রথম অভ্যন্তরীন রেকটি ২৪ সেপ্টেম্বর মলভোমে সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম বহির্গামী রেল চালানো হয়, যেখানে ৪২টি ওয়াগন পাথরের টুকরো মলভোম থেকে জিরানিয়া পর্যন্ত লোড করা হয়।
যাত্রী ও মালবাহী উভয় পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদাই প্রমাণ করে যে রেল যোগাযোগ কীভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জীবনকে বদলে দিচ্ছে।