মঙ্গলবার সকালেও সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বার হয়ে সরাসরি কংগ্রেসের সদর দফতরে যান রাহুল। তারপর সেখান থেকে ইডির দফতরে তিনি হাজির হন ১১.০৫ মিনিটে। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এর পর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দেওয়া হয়। ইডি সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, রাহুল গান্ধি নিজের সমস্ত বয়ান লিখিত আকারে, টাইপ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, সেগুলি এখনো পর্যন্ত ৫০ পাতা টাইপ করা হয়েছে। প্রতিটি পাতায় রাহুল গান্ধি স্বাক্ষর করছেন।
advertisement
ঐতিহাসিক ন্যাশনাল হেরল্ড। জওহরলাল নেহরুর হাতে শুরু সংবাদপত্র। সেই সংবাদপত্রকে কেন্দ্র করে হওয়া আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগেই সোমবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হয় রাহুল গান্ধিকে। ইডির প্রশ্নের মুখে রাহুল। পথে কংগ্রেস। পাল্টা আসরে বিজেপিও। হেরল্ড ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ন্যাশনাল হেরল্ড নামের সংবাদপত্র শুরু করেন জওহরলাল নেহরু। হেরল্ডের মালিকানা ছিল অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে এক সংস্থার হাতে। পরে, লোকসানে চলা জার্নালকে সাহায্য করতে কংগ্রেসের তহবিল থেকে ৯০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন - দিল্লিতে পৌঁছেই পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে মমতা! বুধবার আসছে কংগ্রেস, বামেরাও
২০০৮ সালে লোকসানের বোঝায় ন্যাশনাল হেরল্ড বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে অবশ্য ফের চালু হয়। এর মাঝে ২০১০ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে নতুন একটি সংস্থা তৈরি করা হয়। যার ৭৬ শতাংশ মালিকানা সনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধির হাতে। অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দেয় ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড ৷ বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসের মালিকানা ইয়ং ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসের দু’হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন গান্ধিরা। ২০১৫ সাল থেকে এই মামলার তদন্তে ইডি।